বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের চোখ রাঙানি দিচ্ছিল ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও জস বাটলার। টাইগার শিবিরে সহজ ক্যাচ মিসের আক্ষেপের মধ্যে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে ফেলেছিল ইংলিশরা। মাঝে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের রানের গতি কিছুটা কমিয়েছিল বাংলাদেশের স্পিনাররা।
তবে একপ্রান্ত আগলে ধরে রেখে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় চালিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক বাটলার। তার ঝোড়ো ফিফটিতে বড় সংগ্রহের ভিত গড়েছিল সফরকারীরা। তবে বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করেছে ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন>চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের আরও ২ স্টেশন
আজ বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চোধুরী টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম থেকেই রোটেশন পদ্ধতিতে স্পিন-পেস বোলার ব্যবধার করে শুরু করেন টাইগার কাপ্তান সাকিব। ফলে প্রথম তিন ওভারে মাত্র ২৩ রান তুলতে পেরেছিল ইংল্যান্ড।
এরপর বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ওঠেন দুই ওপেনার। ফলে পাঁচ ওভার যেতে না যেতেই রান ৪৪ হয়ে যায়। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে জোড়া ক্যাচ মিস করে বাংলাদেশ। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে ফিল সল্ট বোলার নাসুমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। তবে বাঁহাতি এই স্পিনার নিচু হয়ে হাত লাগালেও সেই ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি।
একই ওভারে ইংলিশ অধিনায়ক বাটলারও ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু বেশ উঁচু হয়ে আসা বল টাইগার দলপতি সাকিবও তা ফেলে দেন। ফলে ছয় ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৫১ রান করেছে সফরকারীরা। এরপর কিছুটা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন সাকিব-নাসুমরা। তবে ইংল্যান্ডের ইনিংসে দলের রান ৮০ হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন>ফের ফেসবুকে ম্যাসেঞ্জার অ্যাপ ছাড়াই চালু হবে ইনবক্স
তবে ওভারের শেষ বলে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। উইকেটের পিছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে দেন সল্ট। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পরও ইংলিশ ওপেনার সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন। তবে আল্ট্রা-এজে এই ওপেনারের বিদায় নিশ্চিত হয়। সল্ট ৩৫ বলে চার বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান করেন।
এরপর ১২তম ওভারে এসে ডেভিড মালানের উইকেট তুলে নেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। তার স্পিন ঘুর্ণির বল সামনে এসে টেনে মারতে গিয়ে লং অনে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দেন। বিদায়ের আগে ৭ বলে মাত্র ৪ রান করেন তিনি।
এরপর ১৩তম ওভারে হাসান মাহমুদকে টানা দুই ছক্কার মেরে নিজের ক্যারিয়ারের ফিফটির সঙ্গে ইংল্যান্ডের দলীয় ১০০ পেরিয়ে নিয়ে যান বাটলার। এই মাইলফলক অর্জন করতে ইংল্যান্ড অধিনায়কের লেগেছে মাত্র ৩২ বল।
আরও পড়ুন>রমজানকে উপলক্ষে কেনা হচ্ছে ২৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি
এরপর দলীয় ১৩৫ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ১৬তম ওভারের শেষ বলে মোস্তাফিজের শিকারে পরিণত হন তিনি। ফিজের ক্রস সিমের বলটি নিচু হয়েছিল বেশ, আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে নাগালই পাননি ডাকেট। তাতে ১৩ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি।
আগের ওভারের শেষ বলে মোস্তাফিজের শিকার ডাকেট, পরের ওভারের প্রথম বলে হাসান মাহমুদের বলে ফিরলেন বাটলার। লং অন দিয়ে টেনে মারার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ইংল্যান্ড অধিনায়কের, ৪২ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছেন এর আগে। ফলে টানা বলে উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় ইংল্যান্ড।
এরপর শেষ দিকে মঈন আলী ৮, স্যাম কারান ৬, ক্রিস ওকস ১ ও ক্রিস জর্ডানের ৫ রানে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান করেছে সফরকারীরা। বোলিংয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া সাকিব, তাসকিন, মোস্তাফিজ ও নাসুম প্রত্যেকে একটি করে উইকেট পান।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.