‘পুরো দেশের পর্যটনের উন্নয়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’

শুধু কক্সবাজার বা কুয়াকাটা নয়, পুরো দেশের পর্যটনের উন্নয়নে সরকার প্রতিশ্রুতিদ্ধ বলে জানিয়েছেন বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

বুধবার (৩ মে) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মুজিব’স বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাস্টারপ্ল্যান হওয়ার আগে আমরা অনেক জায়গায় গিয়েছি। এক মাস আগে আমরা কুয়াকাটা গিয়েছি, এটার উপরে ওয়ার্কশপ করেছি। তারা কী চায়, কী করতে হবে এসব নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। কুয়াকাটার উন্নয়নের সরকারও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চাচ্ছি পর্যটনের উন্নয়নে পরিকল্পনা মাফিক সবকিছু করতে। অতীতে অনেক কিছু হয়েছে, যেগুলো হয়ত আমাদের কাজে লাগেনি।

আরও পড়ুন>> বাল্যবিবাহে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম বাংলাদেশ

কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন এবং কুয়াকাটা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পট নিয়ে একটি রোডম্যাপ তৈরি হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেই লক্ষে আমাদের মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হচ্ছে। আমরা চাচ্ছি ভবিষ্যতে সাথে প্রতিটি জেলায় পর্যটনের উন্নয়নে ওয়ার্কশপ, সভা, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম পর্যায়ক্রমে করব।

পাশের রাষ্ট্রের লোকজন যাতে সহজে আমাদের দেশে আসতে পারে এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ভিসা প্রসেসিং সহজ করতে আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানাব। আমরাও তাদের দেশে যাব। দেশগুলোর সাথে যাতে সম্পর্ক বাড়ানো যায় এবং ভিসা সহজ হয় সেসব নিয়ে আমরা কাজ করছি।

এসময় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও ও অতিরিক্ত সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনে এ বছরই বড় করে লেখা থাকবে সেই জায়গার নাম। এ নিয়ে কাজ চলছে। আমরা পুরো দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ করছি। এটি করা সম্ভব হলে দেশের পর্যটন খাত বদলে যাবে। এছাড়াও বিদেশি পর্যটকরা যাতে খুব সহজে দেশে আসতে পারে তাদের আকৃষ্ট করতেও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন>>বৃহস্পতিবার সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে ব্যাংক

বিমান সচিব মোকাম্মল হক বলেন, জেলা পর্যায় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যাতে কে কোন জেলায় ঢুকছে তা যেন বুঝতে পারে। এজন্য সরকারি নয়, বেসরকারি উদ্যোগও দরকার। আমরা সবার সহযোগিতায় পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে চাই।

বিমান সচিব আরও বলেন, এমন আয়োজন দেশের বাইরেও করার পরিকল্পনা রয়েছে। কীভাবে বিদেশিদের আকৃষ্ট করা যায় সেই পরিকল্পনায় এটা করা। এটা প্রতি জেলায় করব। পরে দেশের বাইরেও করা হবে। আমরা শুরু করলাম, আরও করব। যেসব দেশ থেকে ট্যুরিস্ট বেশি আসে তাদের আকৃষ্ট করাই লক্ষ্য। দেশের বাইরে মিশনগুলোতেও করা হবে৷ আমরা স্মার্ট ট্যুরিজমের দিকে কাজ করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছি।

ইবাংলা/এসআরএস

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us