মহাকাশে লাল-সবুজ মরিচ চাষ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝাল, স্বাদেও তেমন খাসা বলেই মরিচ দিয়ে ঝাল ডিশ বানিয়ে খেয়ে প্রশংসা করছেন নভোচারীরা।

Islami Bank

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে গত ২০ বছর ধরে প্যাকেট খাবার খেতেন নভোচারীরা। গত কয়েক বছর ধরে স্পেস স্টেশনেই আনাজপাতি চাষের চেষ্টা শুরুর পর প্রথমে মুলা এরপর মরিচ ফলল। নভোচারী মেগান ম্যাকআর্থার বিফ, টোমাটো আর ঝাল মরিচের বানানো রোল খেয়ে তারিফও করেছেন।

চাঁদ-মঙ্গলে এখন যাতায়াত চলছেই। যখন খুশি চাঁদে নেমে নুড়ি-পাথর কুড়িয়ে আনতে হতে পারে। সেখানে বিশ্রামের জন্য পাকা ঘরও তোলা হবে। দরকার পড়লে মঙ্গলে ঢুঁ মেরে আসতে হতেও পারে। মোদ্দা কথা, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে গ্যাঁট হয়ে বসে থাকার দিন শেষ।

  • মহাকাশ চষে গ্রহ-তারাদের নিত্য নতুন খবর দিতে হবে নভোচারীদের। তার জন্য শরীর ঠিক রাখতে হবে। পুষ্টিকর খাবারও খেতে হবে। সেই পৃথিবী থেকে বয়ে নিয়ে যাওয়া বাসি খাবার চলবে না। একেবারে টাটকা ফল, আনাজ দিয়ে রান্নাবান্না হবে মহাকাশে। সে জন্য এখন চাষের কাজে মন দিয়েছে নাসা।

নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার রয়েছে ফ্লোরিডায়। এই স্পেস সেন্টারের দায়িত্ব আধা নাসার, আধা ফ্লোরিডা সরকারের। নাসার আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (ইন্টারন্যাশনাল স্পেস সেন্টার)অনেক কাজকর্মই এখান থেকে পরিচালনা করা হয়। মহাকাশে ফসল ফলানোর ব্যাপারটাও এখানকার বিজ্ঞানীরাই দেখছেন।

one pherma

আগে পৃথিবী থেকে যাবতীয় রসদ বয়ে নিয়ে যেতে হত। দীর্ঘ সময় থাকার জন্য খাবার পাঠানো হত। প্যাকেটবন্দি সে সব খাবারের পুষ্টিগুণ কিছু সময় পরেই ফুরিয়ে যায়। তাই যাতে পৃথিবী থেকে রসদ বয়ে নিয়ে যেতে না হয়, সে চেষ্টাই হচ্ছে।

  • ফসল ফলাতে গেলে মাধ্যাকর্ষণের দরকার খুব একটা পড়ে না। গাছের শিকড় মাটির নিচ অবধি নামে। তাই অসুবিধা খুব একটা নেই। লাল ও নীল কৃত্রিম আলোতে গাছের ফলন ভাল হয়েছে। বিশেষ রকম পাথুরে মাটিতে বীজ পোঁতা হয়েছিল।

সার ও অন্যান্য উপকরণ তার মধ্যেই ছিল। চাষের কাজ ঠিক হচ্ছে কিনা দেখার জন্য ১৮০টি সেন্সর ও ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। সেসব তথ্য পাঠানো হচ্ছিল পৃথিবীর গ্রাউন্ড স্টেশনে। চাষের কাজে এখন ভালোভাবেই সাফল্য এসেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

 ইবাংলা/এইচ/০২ নভেম্বর, ২০২১

Contact Us