জেল হত্যার আসামিদের পেলেই ফাঁসি কার্যকর
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জেল হত্যার পলাতক আসামিদের আমরা খুঁজে বেড়াচ্ছি। তাদের নিজেদের আওতায় পেলেই ফাঁসির রায় কার্যকর হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জেলখানা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। কিন্তু কীভাবে আইন ভেঙে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে সবাই জানে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে এবং রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। জেল হত্যার রায় কার্যকরের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
বুধবার (৩ নভেম্বর) সকালে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নাজীম উদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে অবস্থিত জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, দেশে দুইটি ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। যার মধ্যে একটি ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, অন্যটি ৩ নভেম্বর জেল হত্যা। এগুলো কারা ঘটিয়েছে তা সবাই জানে। অনেক হত্যাকারীদেরই বিচার হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান সেনা বিদ্রোহের নামে শত শত লোককে হত্যা করেছে, সেটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। এই বিষয়ে হাকোর্টে একটি রিট রয়েছে। আমরা রিট আবেদনের রায়ের অপেক্ষা করছি। আমরা চাই দোষীদের যেন বিচার হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার সামরিক আদালতে করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার প্রচলিত বিচারব্যবস্থায় হয়েছে। তাদের ফাঁসি হয়েছে। বিডিআর-কাণ্ডের বিচার হয়েছে এবং আপিল করায় তা এখন উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
- এদিন সকালে জেলখানায় প্রবেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিনি জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ, সিমিন হোসেন রিমি, শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে রেজাউল করিম, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনিসুর রহমানসহ আরও অনেকে।
ইবাংলা/জেডআরসি/০৩ নভেমবর, ২০২১