বিবিসির প্রতিবেদনে এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, চেহারা শনাক্তকারী প্রযুক্তি ব্যবহারে নৈতিকতা নিয়ে এবং ব্যক্তির গোপনীয়তা, বর্ণবাদমূলক পক্ষপাত এবং চেহারা ঠিকমতো চিহ্নিত করা যাচ্ছে কি না—এসব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন উঠছিল।
তবে, মার্কিন সরকার এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো নীতিমালা নির্ধারণ করেনি। তবে, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের দিক থেকে এ প্রযুক্তি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলে আসছে।
- এখন পর্যন্ত, ফেসবুকে কারও ছবি বা ভিডিও অন্য কেউ পোস্ট করলে নোটিফিকেশন পাওয়া যায়। সফটওয়্যারটির ব্যবহার বন্ধ করলে ফেসবুকে সে ব্যবস্থা থাকবে না।
- ফেসবুকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরোম পেসেন্টি এক ব্লগ পোস্টে বলেছেন, ‘চলমান অনিশ্চয়তার মধ্যে, আমাদের মনে হয়—চেহারা শনাক্তকারী প্রযুক্তির ব্যবহার সীমিত করে ফেলাই সমীচীন।’
ফেসবুক যে কায়দায় ছবি স্ক্যান ও ট্যাগ করার পদ্ধতি ব্যবহার করে, তা নিয়ে ২০১৫ সালে ফেসবুকের বিরুদ্ধে করা মামলা গত বছর নিষ্পত্তি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের একদল ব্যবহারকারী মামলায় অভিযোগ করেন—ফেসবুকে চেহারা চিহ্নিত করার প্রযুক্তি অঙ্গরাজ্যের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আইনের পরিপন্থি। ফেসবুক ওই ব্যবহারকারীদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫৫ কোটি মার্কিন ডলার দিতে রাজি হয়।
এ ছাড়া সম্প্রতি ফেসবুকেরই সাবেক একজন কর্মী ফ্রান্সেস হাউজেনের বিস্ফোরক সব অভিযোগের পর বেশ বেকায়দায় পড়ে ফেসবুক। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ তাঁর পদ থেকে সরে না দাঁড়ালে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
- ফ্রান্সেস হাউজেনের অভিযোগ—মানুষের গোপনীয়তার সুরক্ষার চেয়ে মুনাফা অর্জনকে প্রাধান্য দেয় ফেসবুক।
ইবাংলা/ এইচ /০৩ নভেমবর, ২০২১