স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পানি সরবরাহ বন্ধ, রোগীদের চরম ভোগান্তি

বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত পাঁচদিন ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পানির পাম্প বিকল হওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ও তাদের সঙ্গে আসা স্বজন এবং আবাসিক ভবনে বসবাসরত চিকিৎসক ও কর্মরতরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আবাসিক ভবনে পানি সরবরাহের জন্য এক বছর আগে একটি নতুন বৈদ্যুতিক মোটর বাসানো হয়।

মোটরটি বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে আমতলী হাসপাতাল এবং আবাসিক ভবনে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। নোংরা হয়ে আছে হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোর শৌচাগার। সর্বত্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।

আরও পড়ুন…যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও বার্তা পাঠাবেন

রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালে ট্যাপ থেকে পানি পড়ছে না। রোগীর স্বজনরা বালতি এবং পানির বোতল ভরে বাইরের গভীর নলকূপ থেকে পানি নিয়ে আসছেন।

হাসপাতালের আবাসিক ভবনে (চারটি) চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও পড়েছেন বিপাকে। ভবনগুলোতে বসবাসরত চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মচারীরা পানির অভাবে ঠিকমতো গোসলসহ সাংসারিক কাজকর্ম করতে পারছেন না।

এ সময় রোগীর সঙ্গে আসা আলেয়া নামের এক নারী বলেন, হাসপাতালের বাইরের গভীর নলকূপ থেকে পানি ভরে চারতলায় নিয়ে ওঠা খুব কষ্টকর। এভাবে আর পারা যায় না।

আরও পড়ুন…ডেঙ্গুতে আরও ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৩২৭

ডেঙ্গু জরে আক্রন্ত মেহেদি হাসান বলেন, ভাই চার দিন ধরে গোসল করতে পারছি না, শৌচাগারে যেতে পারছি না। শহরের কোনো এক দুরসম্পর্কের আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে গোসল এবং শৌচাগার সেরে আসি।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, আমতলী উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানি সরবরাহের জন্য ২০২২ সালের প্রথম দিকে ৮-৯ লাখ টাকা ব্যয়ে বৈদ্যুতিক মোটরটি বসানো হয়েছিল। এক বছরের মাথায় এটি নষ্ট হয়ে গেছে।

হাসপাতালের আবাসিক ভবনে বসবাসরত নার্স রেবা, সালমা, মোর্শেদা ও আঁখি বলেন, হাসপাতালে পানি তোলার বৈদ্যুতিক মোটরটি নষ্ট থাকায় এখন আমরা পানি পাই না। বিকল্প ব্যবস্থায় বাইরে থেকে পানি সংগ্রহ করে তা দিয়ে সাংসারিক, রান্নাবান্না ও ধোয়ামোছার কাজ করছি।

এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুল মুনায়েম সাদ বলেন, পানির পাম্পে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য সিভিল সার্জন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন…প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই, থানায় লিখিত অভিযোগ

বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পটুয়াখালীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেবব্রত হালদার বলেন, কী কারণে মোটরটি নষ্ট হয়েছে তা জানি না। তবে দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইবাংলা/ জেএন

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us