ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস পাড়ের কৃতি সন্তান প্রবীণ আলোকচিত্রী ও পরিচ্ছন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রাণতোষ চৌধুরী চলে গেলেন। শুক্রবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে তিনি তাঁর পাইকপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯বছর। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজণিত নানা শারীরিক জটিলতার সাথে লড়াই করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ৪ মেয়ে ও নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি জেলার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের শ্যামড়া গ্রামের রাধা চরণ চৌধুরীর ছেলে। এদিকে তাঁরা মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরজুড়ে শোকের আবহ নেমে আসে। রাত থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ তার সুহৃদরা তাকে এক নজড় দেখতে তার বাড়িতে ভিড় জমান।
পরে শনিবার ( ৬ নভেম্বর) সকালে প্রাণতোষ চৌধুরীর শবদেহ স্থানীয় শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ীতে নিয়ে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীসহ আত্মীয় স্বজন সুহৃদ ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা ও চোখের জলে তাকে শেষ বিদায় জানান। পরে দুপুরে শহরের মেড্ডাস্থ শ্মশানে তার অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
ইবাংলা/নাঈম/০৬ নভেম্বর, ২০২১