গাজায় যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ব্রাসেলসে এক বৈঠকের পর গাজায় জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য মানবিক করিডর ও যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানাতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা।

Islami Bank

গত বৃহস্পতিবার এক ঘোষণাপত্রে ইইউভুক্ত ২৭টি দেশের নেতারা গাজায় ক্রমে খারাপ হতে থাকা মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

ইইউ নেতারা বলেন, আমরা গাজায় বিরতিহীন, দ্রুত, নিরাপদ ও বাধাহীন মানবিক  প্রবেশাধিকার এবং অভাবীদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ যেমন মানবিক করিডর ও মানবিক প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাময়িক বিরতি চাই। তবে আমরা আবারও ইসরাইল জুড়ে হামাসের নৃশংস ও নির্বিচার সন্ত্রাসী হামলারও নিন্দা জানাই। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর ইসরাইলি বোমা হামলা রুখতে এগিয়ে আসতে সব বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন>> সমাবেশ ঘিরে মাঠে থাকবে দুই হাজার আনসার

one pherma

অন্যদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেছেন, ইসরাইল শুধুমাত্র হামাসের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান গাজায় ইসরাইলি হামলা রুখতে না পারার জন্য পশ্চিমাদের অভিযুক্ত করে বলেছেন, এর কারণ হচ্ছে, যাদের রক্ত ঝরছে তারা মুসলিম। এদিকে, জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় ত্রাণ খুবই স্বল্প পরিমাণে পৌঁছাচ্ছে। সর্বশেষ গাজায় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে আরও ১২টি ট্রাক ঢুকেছে। কিন্তু সেখানে এখনো কোনো জ্বালানি পৌঁছায়নি।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আমরা মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা ট্রাক প্রবেশ করাতে পেরেছি। আরও বেশি পরিমাণে ট্রাক প্রবেশ করানো দরকার। গাজায় আমাদের নিরাপদ, অবাধ প্রবেশাধিকার দরকার, যাতে আমরা মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে পারি ও ক্ষুধায় যাতে কেউ মারা না যায় তা নিশ্চিত করতে পারি। কারণ এখন এটাই হচ্ছে। হামাস বলেছে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বোমা নিক্ষেপের কারণে হামাসের হাতে আটক অন্তত ৫০ জন জিম্মি নিহত হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর হামলার জের ধরে তাদের জিম্মি করা হয়েছিল। হামাসের পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখনো পর্যন্ত গাজায় সাত হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। সূত্র: বিবিসি

ইবাংলা/এসআরএস

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us