করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সামাল দিতে ভারত যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখনই ভারতে নতুন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে জিকা ভাইরাস। এরই মধ্যে উত্তর প্রদেশের কানপুরে ৮৯ জনের দেহে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
কানপুরের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. নেপাল সিং বলেন, জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের ওপর নজর রাখা এবং এর বিস্তার ঠেকানোর জন্য কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কতোগুলো দল গঠন করেছে।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, শহরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং এ কারণে কর্মকর্তাদের তিনি আরও বেশি তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর কোনো উপসর্গ প্রকাশ পায় না। এটি মানুষের স্নায়বিক বিপর্যয় ঘটায়। বিশ্বে ১৯৪৭ সালে জিকা ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়।
উগান্ডায় ১৯৪৭ সালে বানরের দেহে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাস চিহ্নিত হয়েছিল।মানবদেহে এর প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয় ১৯৫৪ সালে নাইজেরিয়ায়।
এরপর থেকে আফ্রিকা, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোতে জিকা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
ব্রাজিলে ২০১৫ সালের মে মাসে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই, তাই ঝুঁকি কমানোর একমাত্র উপায় মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করা। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঘটনা বিরল। যারা আক্রান্ত হন তাদের পাঁচজনের মধ্যে মাত্র একজনের শরীরের এর উপসর্গ দেখা দেয়।
কানপুরে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় গত ২৩ অক্টোবর। এক সপ্তাহ ধরে এর সংক্রমণ বাড়ছে।
সূত্র : বিবিসি।
ইবাংলা/ টিপি/ ৯ নভেম্বর, ২০২১