ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর কমান্ড কাঠামো বিধ্বস্ত হয়েছে। পেজার ও ওয়াকিটকির বিস্ফোরণে ভেঙে পড়েছে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা। দলটির প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার মাধ্যমে ইসরায়েল যেন হিজবুল্লাহর কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছে।
আরও পড়ুন…যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করে লেবাননে ইসরায়েলের স্থল অভিযান
এই পরিস্থিতিতে কি হিজবুল্লাহ পরাজয় মেনে নেবে? বিভিন্ন মহলে উঠছে এমন প্রশ্ন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর সম্ভাবনা খুবই কম। বরং হিজবুল্লাহ আরও আগ্রাসী হতে পারে। নাসরাল্লাহর অনুপস্থিতিতে সামান্য ধাক্কা খেলেও, গোষ্ঠীটি নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে পিছপা হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। উপ-প্রধান নাইম কাশেম এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, হিজবুল্লাহ তাদের মূল লক্ষ্য অটুট রেখে এগিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলের স্থল অভিযান মোকাবিলায় প্রস্তুত।
তবে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এমন সংকটেও হিজবুল্লাহ কতটা সুসংহত থাকবে এবং কত দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে, তা অনিশ্চিত। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মদ আল-বাশা মনে করেন, নাসরাল্লাহর মৃত্যু হিজবুল্লাহর ওপর অর্থপূর্ণ প্রভাব ফেলবে, সাময়িকভাবে অস্থিতিশীল হতে পারে গোষ্ঠীটি। এর পাশাপাশি তাদের রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশলেও পরিবর্তন আসবে।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের নেতৃত্বে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আরও জোরদার হতে পারে, যা গোটা অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
ইবাংলা/রাজিব
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.