ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক মহড়া এমন সময় বেড়েছে যখন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব মহড়া থেকে বোঝা যায় মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধ শক্তিগুলোর পক্ষ থেকে অব্যাহত হুমকি ও নিজ নিরাপত্তা নিয়ে ইসরাইল খুবই চিন্তিত।
ইসরাইল গত অক্টোবরে ১২ দিন ধরে নাকাব মরুভূমিতে আরো কয়েকটি দেশের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে যা শেষ হয় ২৮ অক্টোবর। ওই যৌথ মহড়ায় প্রায় এক হাজার সেনা, ৬০টির বেশি যুদ্ধ বিমান অংশ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরানের সাথে সৌদির আলোচনা অব্যাহত থাকবে
এই মহড়ার দুই সপ্তাহ পর গত বুধবার ১০ নভেম্বর থেকে আবারো ইসরাইল আন্তর্জাতিক পানিসীমায় নৌমহড়া শুরু করে এবং তা পাঁচ দিন পর্যন্ত চলে। এ মহড়ায় ইসরাইল ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও অংশ নিয়েছে। ইসরাইলি কর্মকর্তারা মনে করেন, তাদের এসব সামরিক মহড়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলায় নিজের সামরিক সক্ষমতাকে শক্তিশালী করা।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইরান সমর্থক প্রতিরোধকামী সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে প্রধান হুমকি মনে করে ইসরাইল। ইসরাইলি কর্মকর্তাদের দাবি চলমান এসব মহড়ার উদ্দেশ্য প্রতিরোধকামীদের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলা করা। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর প্রধান অভিব কুখাবি বলেছেন, হুমকি মোকাবেলায় তাদের সেনারা কাজ করে যাচ্ছে এবং এসব হুমকি ইরান কিংবা ফিলিস্তিনি যাদের পক্ষ থেকেই আসুক না কেন তার শক্ত জবাব দেয়া হবে।
তিনি এমন সময় এ কথা বললেন যখন এটা সবারই জানা আছে যে এ অঞ্চলের প্রতিরোধ শক্তিগুলো কখনই ইসরাইলের বিরুদ্ধে আগাম হামলা চালায়নি বরং ইসরাইলই সবসময় আগে হামলা চালিয়েছে। এ অবস্থায় ইসরাইলের সামরিক মহড়ার উদ্দেশ্য যতটা না প্রতিরোধ তারচেয়ে বেশি রাজনৈতিক ও শক্তি প্রদর্শন।
ইবাংলা/ নাঈম/ ১৫ নভেম্বর, ২০২১