চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তার আইডি হ্যাক করে বন্দর থেকে ১৫৩ টন গার্মেন্টস পণ্য খালাস করার বিষয়টি সম্প্রতি নজরে এসেছে। চলতি বছরের জুন ও অক্টোবরে এই ঘটনা ঘটলেও সম্প্রতি তা জানাজানি হয়। একটি চক্র কাষ্টমসের দুই কর্মকর্তার আইডি হ্যাক করে এ কাজ করেছে বলে জানা যায়।
খালাস হওয়া মোট ৯টি চালানের মধ্যে ছয়টির আমদানিকারক ঢাকার, বাকি তিনটির আমদানিকারক ঈশ্বরদী ইপিজেডের।ঘটনা তদন্ত শুরু করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আমির হোসেনি এ বছরের মে মাসে সিলেটে বদলি হন। সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন জয়নাব বেগম। কিন্তু জুন ও অক্টোবরে কাস্টমসের এই দুই কর্মকর্তার এনবিআর সার্ভার অ্যাসাই কুডা ওয়ার্ল্ডের আইডি ব্যবহার করে খালাস করা হয় ৯টি চালান।
কোনো কর্মকর্তা কর্মস্থলে না থাকলে তার আইডি বন্ধ থাকার নিয়ম থাকলেও ১৫৩ টন গার্মেন্টস পণ্য বন্দর থেকে খালাস করে প্রত্যয় ইন্টারন্যাশনাল নামে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আইএমএম রফিকুল ইসলাম জানান কাস্টমসে একটি সক্রিয় দালাল চক্র রয়েছে। আর এদের কারণেই এখানে সবরকম অঘটন ঘটছে। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের আইডি হ্যাক করে এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে।
এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়, আগেও ২০১৯ সালেও চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক দুই কর্মকর্তার ইউজার আইডি ব্যবহার করে ৩ হাজার ৭৭৭টি চালান অবৈধভাবে খালাস করা হয়। এ ঘটনায় বন্দর ও কাস্টমসের ৩২ কর্মকর্তা, ৭ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও ১৪ আমদানিকারককে চিহ্নিত করা হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে এ ঘটনার পেছনে কে বা কারা রয়েছে বা কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে, তা বেরিয়ে আসবে।
ইবাংলা/ টিপি/ ১৬ নভেম্বর,২০২১