আজ রুনা লায়লার জন্মদিন

বিনোদন প্রতিবেদক :

উপমহাদেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী ও সুরকার রুনা লায়লার ৬৯তম জন্মদিন আজ ১৭ নভেম্বর (বুধবার)।  ১৯৫২ সালের এই দিনে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন কিংবদন্তি এই শিল্পী।  বর্ণাঢ্য সংগীত ক্যারিয়ারে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি।  বাংলা, হিন্দি, উর্দু মিলিয়ে মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন রুনা লাইলা।

জন্মদিন উপলক্ষে দিনটি সাধারণত বিশেষ আয়োজনের মধ্য দিয়েই উদ্‌যাপিত হয়।  কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় জন্মদিনে বড় কোনো আয়োজন থাকছে না।  তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন এ শিল্পী।  জন্মদিনে রুনা তার ভক্ত ও সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।

বাংলাদেশের খুব কম নায়িকাই আছেন, যারা রুনা লায়লার গাওয়া গানে ঠোঁট মেলাননি।  তবে মজার ব্যাপার হলো, রুনা লায়লা তার সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১২ বছরের এক কিশোরের জন্য গান গেয়ে!

আরও পড়ুন : প্রথমবার টাইমস স্কয়ারে শাকিব

১৯৫২ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীতশিল্পী।

১৯৬৪ সালে বাবার অনুমতি নিয়ে সাড়ে ১১ বছর বয়সে পাকিস্তানের ‘জুগনু’ চলচ্চিত্রে প্রথম প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা।  ‘গুড়িয়াসি মুন্নী মেরি ভাইয়া কি পেয়ারি’ গানটি কণ্ঠে তোলার জন্য একটানা দুই মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি।

তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী। দীর্ঘ সংগীত জীবনে কুড়িয়েছেন উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা।  তার ‘দমাদম মাস্ত কালান্দার’ গান উপমহাদেশ বিখ্যাত।  ১৯৭৪ সালে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে গান দিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে প্রথম প্লে-ব্যাক করেন।  এরপর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অসংখ্য ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। নন্দিত এই শিল্পী অভিনয় করেছেন ‘শিল্পী’ নামক চলচ্চিত্রেও।

আরও পড়ুন : প্রকাশ পেলো নুসরাত ফারিয়ার ‘হাবিবি’ (ভিডিও)

রুনা লায়লা সংগীত জীবনে ভূষিত হয়েছেন নানা পুরস্কারে।  বাংলা সিনেমায় গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী বিভাগে সাত বার জিতেছেন ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’।  সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ও পেয়েছেন।  পাকিস্তান থেকে অর্জন করেছেন নিগার, ক্রিটিক্স, গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কারসহ জাতীয় সংগীত পরিষদ স্বর্ণপদক।  নব্বইয়ের দশকে গিনেস বুকেও স্থান পান এই শিল্পী।

রুনা লায়লা বলেন, জন্মদিন অবশ্যই বিশেষ।  এ দিনটিতে আমার ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সহকর্মীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা পেয়ে থাকি।  মানুষের ভালোবাসাই আমার এ পর্যন্ত চলার পথের শক্তি।  এই ভালোবাসাটা আমৃত্যু পেতে চাই।

ইবাংলা/এএমখান/১৭ নভেম্বর, ২০২১

Contact Us