২০১১ সালের ১৭ই জুলাই সাভারের আমিনবাজারে বড়দেশী গ্রামের কেবলারচরে শবেবরাতের রাতে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার প্রায় নয় বছর পরে মামলাটির রায় দেয়া হবে আগামী ২রা ডিসেম্বর। রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত জাহান সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে এই রায়ের দিন ধার্য করেন।
নিহত ছয় ছাত্র হলেন- ধানমন্ডির ম্যাপললিফ স্কুলের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শাম্মাম, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং বাঙলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান।
ওই ঘটনার পর আল-আমিনসহ নিহতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন আবদুল মালেক নামে স্থানীয় এক বালু ব্যবসায়ী।
এরপর ছাত্র, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতার মুখে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত গ্রামবাসীকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করে। পরে মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৩ সালের ৮ জুলাই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৬০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এ ছাড়া ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ভিকটিম আল-আমিনকে একই ঘটনায় করা ডাকাতি মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মামলার ৬০ আসামির মধ্যে হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে ছয়জন পলাতক, একজন কারাগারে ও ৫২ জন জামিনে আছেন। এছাড়া দুই আসামি মারা যাওয়ায় অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ মামলায় ১৪ আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার বিচারকালে ৫৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর শাকিলা জিয়াসমিন মিতু।
ইবাংলা /টিপি /২৩ নভেম্বর ২০২১