দীর্ঘ ২০ মাস পর হলে ওঠার অনুমতি পেলেও কোনো সিট পাননি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দ্বিতীয় বর্ষের (৪৯ ব্যাচের) শিক্ষার্থীরা। করোনার সংক্রমণ এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণরুম থাকবে না বলা হলেও, শেষ পর্যন্ত গণরুমেই ঠাঁই হলো শিক্ষার্থীদের। এদিকে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে দ্বিতীয় বর্ষের (৪৮ ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়মিত ‘গেস্টরুম’ কার্যক্রম চালায় বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।
হলে নিয়মিত রাত সাড়ে ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ‘গেস্টরুম’ কার্যক্রম চালানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের (৪৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা ‘গেস্টরুম’ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে জানায় দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবদুল্লাহ হেল কাফী বলেন, হলে গেস্টরুম চলার বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো। যদি সত্যিই এ ধরণের ঘটনা হয়ে থাকে, তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নিজ নিজ হলের সামনে জড়ো হতে থাকেন। তবে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যাশিত সিটের আশায় শিক্ষার্থীরা হলে এলেও সেই সিটের দেখা মেলেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ন্যূনতম এক ডোজ করোনার টিকা গ্রহণকারীদের হলে উঠতে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে হল অফিস থেকে দেওয়া হয়েছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। কিন্তু গণরুমে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। নেই কোনো আলাদা সিটের ব্যবস্থা। গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন। কোনো হলে মিনি গণরুমে শিক্ষার্থীদের রাখা হলেও অবস্থা গণরুমের মতোই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আবাসিক হলগুলোতে অন্তত ৫০ ভাগ শিক্ষার্থীকে আমরা আবাসনের আওতায় আনার চেষ্টা করেছি। কিন্তু, ৪৪ ব্যাচের অনেকেই এখনও হলে অবস্থান করায় এ সংকট এড়ানো যায়নি। তবে, গণরুমগুলোতে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নির্দিষ্ট দূরত্বে ছাত্রদের রাখা হয়েছে। কিছু গণরুমে খাট দেওয়া হয়েছে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই ছাত্রদের গণরুম থেকে আবাসনের ব্যবস্থার কথাও জানান তিনি।
ইবাংলা / এইচ / ১ডিসেম্বর, ২০২১