অন্যরকম ফ্যাশনের কারণে প্রায়ই খবরের শিরোনাম হন ‘বিগ বস’ প্রতিযোগী, হিসেবে প্রথম যাকে বহিষ্কার করা হয়েছিলেন অভিনেত্রী উরফি জাভেদ। উরফির জন্ম ও বেড়ে ওঠা একটি রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে। ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একটি একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের বিয়ে ও প্রেম নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন।
উরফি বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কোনো গডফাদার নেই। আমি বিশ্বাস করি, যখন আমি সাহসী- তখন সমাজ আমাকে অস্বীকার করে। তবে, এ ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুতর বিষয়- আমি একজন মুসলিম মেয়ে। আমি যে ঘৃণামূলক মন্তব্য পেয়েছি তার বেশির ভাগই মুসলিমদের কাছ থেকে।
তারা বলে, আমি ইসলামের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছি। তারা আমাকে ঘৃণা করে কারণ মুসলিম পুরুষরা চায় তাদের নারীরা তাদের আদেশ মতো চলুক। তারা সমাজের সব নারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এ কারণে আমি ইসলামে বিশ্বাস করি না। তারা আমাকে ট্রোল করে, কারণ আমি তাদের ধর্ম অনুযায়ী আচরণ করি না।
তাঁর কাছে যখন জানতে চাওয়া হয়- তিনি যদি প্রেমে পড়েন তবে তিনি কখনো নিজের ধর্মের কাউকে বিয়ে করবেন কি-না, তিনি বলেন, আমি কখনোই একজন মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করব না। আমি ইসলামে বিশ্বাস করি না এবং আমি কোনো ধর্ম অনুসরণ করি না। তাই আমি কার প্রেমে পড়ি তাতে আমার কিছু আসে যায় না।
তিনি বিশ্বাস করেন, ধর্মকে কারো ওপর চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। প্রত্যেকেরই স্বাধীন ইচ্ছা থাকা উচিত- তারা কোন ধর্ম পালন করবে। তিনি বলেন, আমার বাবা খুবই রক্ষণশীল মানুষ ছিলেন। তিনি আমাকে এবং আমার ভাইবোনদের মায়ের কাছে রেখে চলে যান যখন আমার বয়স ১৭। আমার মা খুব ধার্মিক মহিলা। কিন্তু তিনি কখনোই আমাদের ওপর তাঁর ধর্ম চাপিয়ে দেননি।
আমার ভাইবোনরা ইসলাম অনুসরণ করে এবং আমি তা করি না। কিন্তু তারা কখনোই আমার ওপর জোর খাটায় না। এমনই তো হওয়া উচিত। আপনি আপনার স্ত্রী ও সন্তানদের ওপর আপনার ধর্ম চাপিয়ে দিতে পারেন না। ধর্ম হৃদয় থেকে আসবে, তানাহলে আপনি আল্লাহকে খুশি করতে পারবেন না।
গীতা পাঠ প্রসঙ্গে উরফি বলেন, আমি এ সময় গীতা পড়ছি। আমি সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আরো জানতে চাই। আমি এর যৌক্তিক অংশে বেশি আগ্রহী। আমি চরমপন্থাকে ঘৃণা করি। তাই আমি পবিত্র গ্রন্থের ভালো অংশটুকু বের করতে চাই।
ইবাংলা/ এইচ /২৩ ডিসেম্বর, ২০২১