এ পর্যন্ত সামরিক খাতে যুক্তরাষ্ট্র যে সহায়তা দিয়েছে তা কোথায়, কীভাবে ব্যয় হয়েছে তার তথ্য চেয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এ নিয়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওয়াশিংটনকে জানাতে হবে। ঢাকার একাধিক কূটনৈতিক সূত্র মানবজমিনকে রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। অর্থাৎ মার্কিন অনুদান কোন বাহিনী পায় এবং কীভাবে ব্যয় হয়, সে সম্পর্কে তাদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করতে হবে। একই সঙ্গে পরবর্তীতে অনুদান পেতে ঢাকাকে এ সংক্রান্ত নতুন একটি চুক্তিতে সই করতে হবে।
সূত্র বলছে, প্রতি বছর বাংলাদেশকে বিরাট অঙ্কের সামরিক অনুদান দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এটি বিভিন্ন বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যয় হয়। বাংলাদেশ কোথায়, কীভাবে ওই অনুদান ব্যবহার করছে তা তারা এখন জানতে চায়। মার্কিন তাগিদপত্র পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক দফা বৈঠক হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ নিয়ে আরেকটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, বিদেশে সামরিক অনুদান প্রদান বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইনে বাইডেন প্রশাসন সংশোধনী এনেছে, যেখানে বলা হয়েছে কোনো দেশের নিরাপত্তা সংস্থা বা বাহিনী যদি নির্যাতন, আইনবহির্ভূত হত্যা, গুম ও ধর্ষণজনিত কোনও অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে ওই সংস্থাকে অনুদান দিতে পারবে না মার্কিন সরকার। এক্ষেত্রে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে-এমন কোনও সংস্থা বা বাহিনীও যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান পাবে না।
ইবাংলা/ এইচ /২৫ ডিসেম্বর, ২০২১