সোনার খনি ধসে সুদানে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৮ জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। উত্তর আফ্রিকার এ দেশটির পশ্চিম খোরদোফান প্রদেশের একটি পরিত্যক্ত সোনার খনি মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) ধসে পড়লে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে বার্তাসংস্থা এপি।
সুদানের রাষ্ট্র পরিচালিত খনি কোম্পানি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজধানী খার্তুম থেকে ৭০০ কিলোমিটার (৪৩৫ মাইল) দক্ষিণে ফুজা গ্রামে মঙ্গলবার একটি পরিত্যক্ত খনি ধসে পড়েছে। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন বলা হলেও এর সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা তারা জানায়নি।
অন্যদিকে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দারসায়া খনিতে বেশ কয়েকটি খাদ ধসে পড়েছে। এতে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের ছাড়াও অন্তত আটজন আহত ব্যক্তিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
খনি কোম্পানিটি ফেসবুকে দুর্ঘটনার ছবি পোস্ট করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে অন্তত দু’টি ড্রেজার সম্ভাব্য জীবিত ও মৃতদেহ খুঁজে বের করতে কাজ করছে এবং এই দৃশ্য দেখতে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছেন। অন্যান্য ছবিতে মানুষ মৃতদের দাফন করার জন্য নিয়ম অনুযায়ী কবর প্রস্তুত করতে দেখা যাচ্ছে।
সংস্থাটি বলছে, খনিটি চালু না থাকলেও, এর পাহারায় নিযুক্ত নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার পর স্থানীয় খনি শ্রমিকরা সেখানে কাজে ফিরে আসে। তবে ঠিক কবে থেকে খনির কাজ বন্ধ ছিল তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য খনি সমৃদ্ধ একটি প্রধান স্বর্ণ উৎপাদক দেশ সুদান। ২০২০ সালে পূর্ব আফ্রিকান দেশটি ৩৬ দশমিক ৬ টন স্বর্ণ উৎপাদন করেছিল। দেশটির সরকারি হিসেব মতে, গত বছর আফ্রিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্বর্ণ উৎপাদনকারী দেশ ছিল সুদান। সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সুদানে সোনার খনি ধসে পড়ার ঘটনা খুবই সাধারণ। মূলত দেশটির সকল সোনার খনির নিরাপত্তার মান নিশ্চত না হওয়ায় ধসে পড়ার মতো ঘটনা ঘটে থাকে।
ইবাংলা /টিপি/ ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১