আগামী মার্চের শেষের দিকে আফগানিস্তানে মেয়েদের সব স্কুল খুলে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে দেশটির নতুন শাসকগোষ্ঠী তালেবান। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) মার্কিন বার্তাসংস্থা এসোসিয়েট প্রেসকে (এপি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এই অঙ্গীকার করেছেন।
গত আগস্টের মাঝের দিকে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর আফগানিস্তানের বেশির ভাগ মেয়ে শিক্ষার্থী স্কুলে ফিরতে পারেনি। সেই সময় ক্ষমতায় আসার পর শুধুমাত্র ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের স্কুলে ফেরার অনুমতি দেয় তালেবান। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ার পর প্রথমবারের মতো মেয়েদের স্কুল খোলার ব্যাপারে নির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করল দেশটির সশস্ত্র নতুন এই শাসকগোষ্ঠী।
তালেবান-নেতৃত্বাধীন আফগান প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অনীহার কথা জানিয়ে আসছে শুরু থেকে। ২০ বছর আগের শাসনের মতো এবারেও একই ধরনের কঠোর ব্যবস্থা তালেবান জারি করায় এখনও কোনও দেশ আফগান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। দুই দশক আগের শাসনের সময়ও তালেবান দেশটিতে মেয়েদের শিক্ষা, চাকরি এবং খোলামেলা জীবন-যাপন নিষিদ্ধ করেছিল।
তালেবান সরকারের সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী জবিউল্লাহ বলেন, তাদের শিক্ষা বিভাগগুলো নতুন বছর থেকে সব মেয়েদের জন্য ক্লাস খোলার চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, স্কুলে ছেলে ও মেয়েদের অবশ্যই আলাদা বসার ব্যবস্থা করা উচিত। কিন্তু বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, আমরা পর্যাপ্ত ভবন এবং হোস্টেল পাচ্ছি না, যেখানে মেয়েরা অবস্থান করতে পারবে। জনবহুল এলাকায় ছেলে এবং মেয়েদের জন্য শুধু পৃথক ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করলেই হবে না, আলাদা ভবনেরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তালেবান শিক্ষার বিরুদ্ধে নয় উল্লেখ করে জবিউল্লাহ বলেন, একসময় কাবুলে মার্বেলের মেঝে করা ভবন আফগান অ্যাটর্নি জেনালের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু এখন আমরা সংস্কৃতি এবং তথ্য মন্ত্রণালয় খুলেছি। ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কাজ করছে তালেবান সরকার। যেন স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ও খুলতে পারি’।
ইবাংলা /এইচ/ ১৬ জানুয়ারি, ২০২২