ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চ্যাম্পিয়ন ইতালি। ওয়েম্বলির ফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে টাইব্রেকে হারিয়ে জয়ের মুকুট পরেছে আজ্জুরিরা। নির্ধারিত সময়ের খেলা ছিল ১-১ গোলের। পরে পেনাল্টি শুটআউটে ইংলিশদের ৩-২ গোলে ইউরোপসেরা মুকুট পরে রবার্তো মানচিনির দল।
ওয়েম্বলির সবুজ গালিচায় নীলের বিজয় উৎসব। ইউরো সেরার মুকুট পরে আজ্জুরিরা বাঁধনহারা অর্জনের আনন্দে। এই উৎযাপন তো ইতালিকে, পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে মাস্টারমাইন্ড রবার্তো মানচিনির ট্যাকটিসে ছিন্ন-ভিন্ন করছে প্রতিটা দলকে। টার্কি, ওলেস, অস্ট্রিয়ার মতো দলগুলো তো ওদের সামনে পাত্তাই পয়নি। বেলজিয়ম-স্পেনের মতো পরাশক্তিদের হয়েছে একই হাল আর শেষটা হয়েছে শক্তিশালী ইংলিশদের ওদের ঘরে ফেলে গুড়িয়ে দিয়েছে।
বিজয়উল্লাসে মাতোয়ারা ইতালির শুরুটা ছিল পুরোপুরি উল্টো। ম্যাচের দুই মিনিটেই ওরা খেয়ে বসে বল। রাইটব্যাক ট্রিপিয়ারের ক্রস থেকে হাফ ভলিতে ইতালির জালে বল জড়ান ইংলিশ লেফটব্যাক লুক শ।
গোল খেয়ে, শুরু থেকেই শোধের চেস্টয় মরিয়ায় ইতালি, কিন্তু ইংলিশদের অলআউট ডিফেন্সের সামনের বারবাই আটকে গেছে ইনসিনিয়ে-কিয়েসারা। লিড বাড়ানোর চেষ্টা করেছে ইংল্যান্ড, তবে ওদের মূল লক্ষ ছিল ডিফেন্স নিয়েই।
ইতালির চেস্ট বিফলে যায়নি, সেকেন্ড হাফেই ওরা ম্যাচে ফিরিয়েছে সমতা। কর্ণার থেকে ভেরাত্তির হেড বারপোস্টে লেগে ফিরে আসার পর, বনুচ্চি বল জালে ঢুকাতে ভুল করেননি। এরপরও চেষ্টা করেছে দু’দল। কিন্ত, কাজে আসেনি, ম্যাচ গড়িয়েছে অতিরিক্ত টাইমে সেখানেই হয়নি গোল। ফলে ১-১ সমতায় থাকা খেলা গড়িয়েছে টাইব্রেকে।
পেনাল্টি শুটআউটে ইতালির জয়ের নায়ক গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারোম্মা। সাঞ্চো, রাশফোর্ড আর সাকার শট ঠেকিয়ে জয় এনে দিয়েছেন দলকে, উল্লাসে মেতে আজ্জুরিরা।
ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরতে আজ্জুরিদের অপেক্ষা করতে হলো ৫৩ বছর। সর্বশেষ ১৯৬৮ সালে ইউরো কাপ জিতেছিলো ইতালি। এরপর ২০০০ এবং ২০১২ সালেও ইউরোর ফাইনাল খেলে ইতালি। কিন্তু, ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। সব আক্ষেও ঘুচিয়ে এবার ইংলিশদের কাঁদিয়ে শিরোপা ঘরে তুললো রবার্তো মানচিনির শিষ্যরা।
ই-বাংলা/ আইএফ/ ১২ জুলাই, ২০২১