করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর বিষয়টি প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করেছে উত্তর কোরিয়া। এছাড়া কয়েক লাখ লোক ‘জ্বরে’ আক্রান্ত বলে জানিয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধ দেশটি মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি স্বীকার করেছে এবং রাজধানী পিয়ংইয়ং-এর লোকেরা ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হওয়ার পর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ মে) রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি-কেসিএনএ জানায়, এপ্রিলের শেষ দিক থেকে দেশব্যাপী জ্বর ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এর কারণ জানা যায়নি। ইতোমধ্যে ছয়জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজনের দেহে ওমিক্রনের বিএ.২ উপ-ধরন শনাক্ত হয়েছে।
কেসিএনএ-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় তিন লাখ ৫০ হাজার লোকের জ্বরের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। তাদের মধ্যে এক লাখ ৮৭ হাজার ৮০০ জনকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার বিধ্বস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা করোনার বিস্তারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে না। দেশটির ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষকে ভাইরাসের প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হয়নি। ডব্লিউএইচও-এর কোভ্যাক্স প্রোগ্রামের আওতায় লাখ লাখ ডোজ টিকা প্রত্যাখ্যান করেছে পিয়ংইয়ং।
এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পূর্ব এশিয়া বিষয়ক গবেষক বোরাম জ্যাং বলেন, দেশটিতে কোভিড-১৯ মহামারি ছড়িয়ে পড়ার প্রথম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে। এভাবে চলতে থাকলে অনেক প্রাণহানি ঘটতে পারে। স্বাস্থ্যগত অধিকার সুরক্ষিত রাখতে অবহেলা করা হয়েছে।
খাদ্য ঘাটতি এবং অপুষ্টির কারণে অনেক উত্তর কোরিয়ানের স্বাস্থ্য খারাপ। রোগটির সঙ্গে লড়াই করা তাদের ইমিউন সিস্টেমের পক্ষে আরও কঠিন হবে। স্বাস্থ্যসেবা সংকট মোকাবিলায় সক্ষমতা বিষয়ক ২০১৯ সালের একটি সমীক্ষায় উত্তর কোরিয়া ১৯৫টি দেশের মধ্যে ১৯৩তম হয়েছে।
কেসিএনএ জানায়, বৃহস্পতিবার দেশটির জরুরি মহামারি প্রতিরোধ সদর দপ্তর পরিদর্শনে গেলে সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে ব্রিফ করা হয়। সে সময় তিনি প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেন। সূত্র :আলজাজিরা
ইবাংলা /জেএন /১৩ মে,২০২২