‘এক অঞ্চল এক পথ’ উদ্যোগের বিরুদ্ধে যে কোনো মিথ্যাচার খণ্ডিত হবেই: চীনা মুখপাত্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

‘এক অঞ্চল এক পথ’ উদ্যোগকে অবমানকারী যে কোনো মিথ্যাচার বাস্তবতার মুখে খণ্ডিত হবেই। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন পিন ১৬ আগস্ট বেইজিংয়ে নিয়মিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেছেন।

চীনা মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন পিন
জানা গেছে, বৃটেনের ফাইনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকা বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট মন্তব্য বিকৃত করেছে। তার ব্যাখ্যা করে ১৫ আগস্ট পত্রিকাটিকে এক বার্তা পাঠায় বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়।

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওয়াং ওয়েন পিং বলেন, ‘আমরা মাননীয় অর্থমন্ত্রীর ব্যাখ্যার ওপর নজর রেখেছি। তাতে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে আস্থা প্রতিফলিত হয়েছে। পাশাপাশি, তা চীনের প্রচলিত একটি কথা প্রমাণ করেছে। আর তা হলো: ‘বিতর্কের চেয়ে বাস্তবতা সত্য এবং ন্যায়বিচার মানুষের মনে থাকে’।

আরও পড়ুন…‘এক অঞ্চল এক পথ’ উদ্যোগের বিরুদ্ধে যে কোনো মিথ্যাচার খণ্ডিত হবেই: চীনা মুখপাত্র

ওয়াং ওয়েন পিন বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চীন বরাবরই বহু সংখ্যক উন্নয়নশীল দেশের পাশে আছে। যৌথ আলোচনা, যৌথ নির্মাণ ও সমন্বিত অর্জনের ভিত্তিতে সব দেশের সাথে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় সহযোগিতা চালিয়ে আসছে।

উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অবকাঠামো ও গণজীবিকা উন্নত করতে দীর্ঘকাল ধরে চীন উন্নয়নশীল দেশসমূহের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাপক পরিমাণে কম সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ প্রদান করেছে। সেসব দেশে চীনের ঋণ পশ্চিমা দেশগুলোর ঋণের তুলনায় অনেক কম। বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত ঋণ প্রজ্ঞাপনে দেখা গেছে, ২০২১ অর্থ বছরে বৈদেশিক ঋণের মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের আদায়ী ঋণের পরিমাণ ৫৯ শতাংশ। চীনের আদায়ী ঋণের হার মাত্র ৭ শতাংশ।

বৃটেনের ফাইনান্সিয়াল টাইমসকে বাংলাদেশের দেয়া বার্তায় বলা হয়, মোট ৫,১০০ কোটি ডলারের ঋণ এবং ৪১ হাজার ৬শ কোটি ডলারের জিডিপি’র তুলনায় চীনের হিস্যা মাত্র ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের অনেক কম।

ওয়াং ওয়েন পিন আরও বলেন, বাস্তবতা বারবার প্রমাণ করে যে, কিছু লোক উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যকার উপকারিতা ও সহযোগিতা লঙ্ঘনের লক্ষ্যে কথিত ‘ঋণ ফাঁদ’র মিথ্যাচার ছড়ায়। ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ উন্নয়নশীল দেশগুলোর ব্যাপক সমর্থন কুড়িয়েছে। এর আওতায় সহযোগিতাও ফলপ্রসূ হয়েছে, যা বিভিন্ন দেশের জনগণের জন্য বাস্তব কল্যাণ বয়ে এনেছে। সূত্র:সিএমজি।

ইবাংলা/জেএন/১৬ আগস্ট,২০২২

চীনা মুখপাত্র