শকুন, পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দ্রুত বিলুপ্ত হতে চলা এক উপকারী পাখি। একসময় শকুনকে অশুভ মনে করা হতো। কিন্তু পাখিটি পরিবেশের জন্য কতটা আশীর্বাদের, সেটি জানতে পেরেই শকুনের হারিয়ে যাওয়া নিয়ে শুরু হয় বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ। এতেই বিশ্বব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়।
প্রকৃতিতে আবারও শকুনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শকুন সমৃদ্ধ দেশ নিতে থাকে নানা উদ্যোগ। সেই প্রচেষ্টায় শামিল হয় বাংলাদেশও। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশ হয়েও এরই মধ্যে শকুন সংরক্ষণে বাংলাদেশ বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) হিসাবে, একসময় পৃথিবীতে চার কোটি শকুন ছিল। কিন্তু সেই সংখ্যা আশির দশকে দ্রুত কমতে থাকে। এখন সেটি মাত্র কয়েক হাজারে ঠেকেছে।
বন অধিদফতর ও আইইউসিএনের তথ্যমতে, ১৯৯০ সালেও বাংলাদেশে ১০ লাখ শকুন ছিল। কিন্তু মাত্র এক যুগের ব্যবধানে ২০১২ সালে শকুনের সংখ্যা ৯৯.৯৯ ভাগ কমে দাঁড়ায় মাত্র ৫৫০টিতে! ২০১৬ সালে এই সংখ্যা আরও ৬০ শতাংশ কমে ২৪০টিতে পৌঁছায়।
পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শকুনকে ‘মহাবিপন্ন’ (Critically Endangered) ঘোষণা করে আইইউসিএন। পাখিটি এখন শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বব্যাপী এটি মহাবিপন্ন একটি প্রজাতি।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুল এইচ খান জানান, পৃথিবীতে শকুনের ১৮টি প্রজাতির মধ্যে বাংলাদেশে ৭টি প্রজাতির শকুনের অস্তিত্ব ছিল।
এর মধ্যে বাংলা শকুন (White-rumped Vulture), হিমালয়ী শকুন (Himalayan Griffon), সরু-ঠুঁটি শকুন (Slender-billed Vulture) ও রাজ শকুন (Red-headed Vulture) ছিল এ দেশের আবাসিক পাখি।
আরও পড়ুন…পকেটমারের খপ্পরে খোয়া গেল জবি শিক্ষার্থীর ফোন
তিনি বলেন, এ ছাড়া বাংলাদেশে দেখা যেত এমন শকুনের অন্য তিনটি প্রজাতি হচ্ছে: কালো শকুন (Cinereous Vulture), ইউরেশীয় শকুন (Eurasian Griffon) ও শ্বেত শকুন (Egyptian Vulture)। এরা মূলত পরিযায়ী (migratory) হিসেবে শীত মৌসুমে কখনো কখনো বাংলাদেশে আসে।
তবে এই সাত প্রজাতির শকুনের মধ্যে একমাত্র বাংলা শকুনটিই টিকে আছে, অন্যরা বিলুপ্ত হয়ে গেছে।বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে থাকা শকুন সংরক্ষণের তাগিদ থেকে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম শনিবার আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস পালিত হয়। আজ সেই শনিবার, শকুন সমৃদ্ধ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশও দিনটিকে গুরুত্বসহকারে পালন করছে।
আরও পড়ুন…নিত্যপণ্যের অদৃশ্য সিন্ডিকেট রুখবে কে?
বিশ্বব্যাপী শকুন বিলুপ্তির মুখোমুখি। কারণ খুঁজতে গিয়ে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ অব ভেটেরিনারি মেডিসিনের অধ্যাপক লিন্ডসে ওক দেখতে পান, গবাদি পশুর চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাক ও কিটোপ্রোফেনের ব্যবহার শকুনকে গণহারে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এই গ্রুপের ওষুধ ব্যবহারের পর পশুটির মৃত্যু হলেও মৃত পশুর দেহে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়ে যায়। ওই মৃত পশুর মাংস খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শকুনটি মারা যায়।ওষুধদুটি দামে সস্তা বলে বিশ্বে এর ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। ফলে মৃত পশু খেয়ে দলে দলে শকুন মারা যেতে থাকে।
যদিও ভারতীয় ভেটেরিনারি বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা যায়, গবাদি পশুর যেসব রোগ হয় তার শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ ক্ষেত্রে ডাইক্লোফেনাক ও কিটোপ্রোফেনের ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে।যদিও ডাইক্লোফেনাক ও কিটোপ্রোফেন বাংলাদেশ নিষিদ্ধ করেছে, কিন্তু এসিক্লোফেনাক, ফ্লুনিক্সিনসহ বেশ কয়েকটি ওষুধ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে, যা শকুনের জন্য সমান ক্ষতিকর।
আরও পড়ুন…রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দিতে সম্মত জি-৭
এ ছাড়া আইইউসিএনের সহযোগী সংগঠন বার্ডসলিস্ট অর্গানাইজেশনের মতে, কৃষিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ও সারের কারণে পানিদূষণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়া, বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষ, কবিরাজি ওষুধ তৈরিতে শকুনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ব্যবহার ইত্যাদি কারণে প্রতিবছর শকুনের ব্যাপক প্রাণহানি হয়।
এ ছাড়া খাদ্যসংকট, নিম্ন জন্মহার, বিভিন্ন কারণে বট, পাকুড়, শেওড়া, শিমুল, ছাতিম, দেবদারু, অশ্বত্থ, কড়ই, তেঁতুল, অর্জুন, পিপুল, নিম, তেলসুর ইত্যাদি বড় গাছ ধ্বংসের কারণে বাসস্থানের প্রচণ্ড সংকটও শকুন বিলুপ্তির অন্যতম কারন।
আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাকিবুল আমিন মনে করেন, ডাইক্লোফেনাক ও কিটোপ্রোফেনের ব্যবহার, খাদ্যসংকট এবং বাস উপযোগী বড় গাছ ধ্বংসই বাংলাদেশে শকুন অবলুপ্তির প্রধান তিনটি কারণ।
আরও পড়ুন…ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীদের সহজে চাকরি হয় না
শকুন বাংলাদেশের স্থায়ী পাখি। হাজার হাজার বছর ধরে প্রকৃতি থেকে মরদেহ সরিয়ে রোগ প্রতিরোধ ও পরিবেশকে সুরক্ষা দিচ্ছে এই পাখি। তাই শকুন প্রকৃতির ঝাড়ুদার হিসেবেও পরিচিত। ‘প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জোটে’র দাবি, শকুনের পাকস্থলী প্রায় ৪০ রোগের জীবাণু সহজেই ধ্বংস করতে সক্ষম, যা অন্যকোনো প্রাণীর পক্ষে সম্ভব নয়।
ড. মনিরুল এইচ খান বলেন, ‘শকুন যেসব জীবাণু থেকে প্রকৃতিকে সুরক্ষা দেয় তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বোটুলিনাম টক্সিন (botulinum toxin), হগ কলেরা ব্যাকটেরিয়া (hog cholera bacteria) এবং অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া (anthrax bacteria)।
এসব জীবাণু প্রকৃতিতে ১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে এবং মানুষ ও পশুকে আক্রমণ করতে পারে। কিন্তু মৃত পশুর মাধ্যমে শকুন এসব ভয়ংকর রোগজীবাণু খেয়ে আমাদের পরিবেশকে রোগমুক্ত করতে সহায়তা করে। তা ছাড়া এসবের পাশাপাশি পরিবেশ নির্মল ও দুর্গন্ধমুক্ত রাখে।’
আরও পড়ুন…দেশে ফিরল টাইগাররা
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, শকুনের অনুপস্থিতিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এশিয়াজুড়ে বেড়ে গেছে জলাতঙ্কসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। ভারতে এই রোগের বিস্তার প্রায় ৩০ ভাগ বেড়েছে। এসব রোগে প্রতিবছর সাত হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে।
তবে বাংলাদেশে এই সংখ্যা অজানা। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছেন, প্রকৃতির কোনো সদস্যই অপ্রয়োজনীয় নয়। একটি সদস্য বিলুপ্ত হয়ে গেলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে পড়ে। এতে অন্য সদস্যদের ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। শকুনও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অবদান রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের নেতৃত্বে ২০০৬ সালে দেশে শকুন সংরক্ষণ আন্দোলনের শুরু হয়। যার প্রধান দাবি ছিল, শকুনের মরণঘাতী ডাইক্লোফেনাক উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাত নিষিদ্ধ করা। বার্ড ক্লাবের সঙ্গে একমত হয়ে ২০১০ সালে ডাইক্লোফেনাক নিষিদ্ধ করে সরকার।
আরও পড়ুন…বগুড়ায় টিএসপি সারে ভেজাল র্যাবের হাতে আটক ১৩
পরে একে গ্রুপের ওষুধ কিটোপ্রোফেন ২০২১ সালে সারা দেশে নিষিদ্ধ করা হয়। যে দুটি ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘বাংলাদেশ জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। ২০১৪ সালে সুন্দরবনসহ খুলনা-বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ৪৭ হাজার ৩৮০ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে শকুনের জন্য ‘নিরাপদ এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে।
এসব এলাকায় শকুনদের নিয়মিত খাবার সরবরাহ, প্রজনন, পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা করছে বন অধিদফতর ও আইইউসিএন।এ ছাড়া প্রতিবছর পরিযায়ী শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যায় দিনাজপুরের সিংড়ায় ২০১৪ সালে একটি ‘শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্র’ স্থাপন করে আইইউসিএন।
আরও পড়ুন…বগুড়ায় টিএসপি সারে ভেজাল র্যাবের হাতে আটক ১৩
সংস্থাটি জানায়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১৫টি শকুন উদ্ধার করে পরিচর্যার পর প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।ক্রমহ্রাসমান শকুনের খাবার জোগাতে ২০১৫ সালে হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ও সুন্দরবনে দুটি ফিডিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে প্রতি মাসে দুটি গরু জবাই করে শকুনকে খেতে দেয়া হয়।
পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে ১০ বছর মেয়াদি (২০১৬-২০২৫) বাংলাদেশ শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে সরকার, যার মাধ্যমে দেশে শকুন সংরক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
শকুন সংরক্ষণে গত ১০ বছরে সরকার বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে বলে মনে করছে বন অধিদফতর। তাদের দাবি, চলমান প্রকল্প অব্যাহত থাকলে শকুনের আগের দিন ফিরে আসবে।বন অধিদফতর ও আইইউসিএনের জরিপে ২০১৬ সালে দেশে মাত্র ২৪০টি শকুনের খোঁজ পাওয়া যায়।
কিন্তু ২০১৮ সালের বন বিভাগ ও আইইউসিএনের সবশেষ জরিপে ২৬০টি শকুন পাওয়া যায়, যাকে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের সুফল বলে মনে করছে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন…আবেগ দিয়ে নয়, বাংলাদেশের উচিত মাথা খাটিয়ে খেলা
এর আগে ২০২১ সালের শকুন সচেতনতা দিবসে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন জানিয়েছিলেন, সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের ফলে হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গায় ২০১৪ সালে শকুনের প্রজনন সফলতা ছিল ৪৪ শতাংশ, যা ২০২০ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ৫৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
শকুন সংরক্ষণে এটিকে তিনি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলে বর্ণনা করেন।অনুষ্ঠানে শকুন সংরক্ষণকারী ব্যক্তি ও সংস্থাকে সরকারি স্বীকৃতি ও প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণাও দেন মন্ত্রী, যা সংরক্ষণ কার্যক্রমে স্থানীয়দের আরও সম্পৃক্ত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শকুন সংরক্ষণে বাংলাদেশ এরই মধ্যে সাফল্য পেয়েছে বলে মনে করেন আইইউসিএনের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাকিবুল আমিন। সময় সংবাদকে তিনি বলেন, ‘শকুন সংরক্ষণে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তার মাধ্যমে আমরা এরই মধ্যে বৈশ্বিক উদাহরণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।
আরও পড়ুন…হাতিয়ায় পরিত্যক্ত আগ্নেয়াস্ত্র মিলল বাগানে
পাখিটি যেভাবে হারিয়ে যাচ্ছিল, সেই ধারা থামিয়ে দেয়া গেছে। দিন দিন সংখ্যা কমে যাওয়ার বদলে প্রজনন সফলতার বৃদ্ধির মাধ্যমে এখন শকুনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’সংরক্ষণ প্রকল্পটি আইইউসিএনের মাধ্যমে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে বন অধিদফতর।
সুফল প্রকল্পের পরিচালক গোবিন্দ রায়ও মনে করেন, শকুন সংরক্ষণে বাংলাদেশ প্রাথমিক সাফল্য অর্জন করেছে।তিনি বলেন, ‘শকুন সংরক্ষণে বাংলাদেশ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে এককথায় সেগুলো যুগান্তকারী। ফলাফলও পেয়েছি আমরা হাতেনাতে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন পাখিটি সংরক্ষণে বাংলাদেশের কর্মকৌশল ও অভিজ্ঞতা অনুসরণ করছে।
আমি এটাকে বড় সাফল্য হিসেবেই মনে করি। তা ছাড়া শকুন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা সম্ভব হয়েছে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে যেটি সবসময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।’
আরও পড়ুন…রাত পোহালেই প্যান প্যাসিফিকে বায়রা নির্বাচন
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে আশান্বিত যে, শকুন দেশ থেকে হারাবে না। বরং শকুন টিকে থাকার আরও যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেসব দূর করার মাধ্যমে আমরা এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত বের হতে পারব।’এদিকে, শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনাকে
শকুন সংরক্ষণের ট্রাম্পকার্ড হিসেবে বর্ণনা করেছেন বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন সংরক্ষক (চলতি) ইমরান আহমেদ।তিনি বলেন, ‘এই কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ীই দেশে শকুন সংরক্ষণের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং এর মাধ্যমেই দেশবাসীকে সুখবর দিতে চাই আমরা।’
ইবাংলা/তরা/৩ সেপ্টেম্বর ২০২২