১৯ সেপ্টেম্বর রানীর শেষকৃত্য।বৃহস্পতিবার(৮ সেপ্টেম্বর) ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসল প্রাসাদে মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।জানা যায়, রানি এলিজাবেথ তার গ্রীষ্মকালীন অবকাশের জন্য স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসল প্রাসাদে অবস্থান করছিলেন।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে কয়েক মাস ধরেই জনসম্মুখে আসা কমিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন।
আরও পড়ুন…স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে উদ্ভাবনী ‘আইডিয়া’র খোঁজে চ্যালেঞ্জ
স্কটল্যান্ডের শহর ও গ্রামের মধ্যদিয়ে রোববার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিন নিয়ে ইডেনবার্গের উদ্দেশ্যে শেষযাত্রা শুরু হচ্ছে। পরে সেখান থেকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। রানির প্রিয় স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদ।
এই প্রাসাদেই তিনি মারা গেছেন। আর এখান থেকেই তার শেষযাত্রা শুরু হচ্ছে।শববাহী গাড়িতে রানির কফিন দেখতে শোকার্ত জনতা লাইন ধরে রাস্তায় দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় কফিনটি নিয়ে বালমোরাল প্রাসাদ থেকে ইডেনবার্গের হলিরুড হাউসের প্রাসাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন…দু’দলেরই প্রতিপক্ষ টস নামক ভাগ্যের খেলা!
এটি স্কটল্যান্ডে বৃটিশ রাজার সরকারি বাসভবন। এ পথে কফিনটি নিয়ে পাড়ি দেয়া হবে অ্যবারডিন, ডান্ডি এবং পার্থ। এ প্রাসাদে সোমবার বিকেল পর্যন্ত কফিনটি রাখা হবে।
পরে রাজা এবং রাজপরিবারের সদস্যরা কফিনের সাথে সেন্ট জাইলস ক্যাথিড্রালে যাবেন। এখানে একটি আনুষ্ঠানিকতার পরে রানির কফিন মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা ক্যাথিড্রালে রাখা হবে, যাতে জনগণ তাকে দেখতে পারেন। এরপর কফিনটি এডিনবার্গ থেকে লন্ডন নিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন…এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা
১৯৫১ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির কানাডিয়ান অ্যাম্বাসিতে ৩৩তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যানের সঙ্গে দেখা করেন সে সময়ের প্রিন্সেস এলিজাবেথ ও তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপ। সফরকালে প্রিন্সেস এলিজাবেথকে দেয়া হয় রাষ্ট্রীয় সম্মাননা।
১৯৫৩ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়েন ট্রুম্যান। আর এর ঠিক পাঁচ মাস পরেই প্রিন্সেস এলিজাবেথের মাথায় ওঠে ব্রিটেনের রানির মুকুট।১৯৫৭ সালের জানুয়ারিতে আবারও ওয়াশিংটন সফর করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
সে সময় ৩৪তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ডোয়াইট ডি আইসেনহাওয়ার। বিমানবন্দরে রানিকে স্বাগত জানাতে নিজেই উপস্থিত ছিলেন আইসেনহাওয়ার। পরে একসঙ্গে হোয়াইট হাউসে যান তারা। রানির সম্মানে রাতে হোয়াইট হাউসেই ডিনারের আয়োজন করা হয়।
৩৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ১৯৬১ সালে ব্রিটেন সফর করেন জন এফ কেনেডি। এ সময় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করতে বাকিংহাম প্যালেসে যান তিনি।
আরও পড়ুন…কৃষিপণ্য শীর্ষক ইবিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
১৯৬৩ সালের নভেম্বরে আততায়ীর গুলিতে কেনেডি নিহত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ওঠে লিন্ডন বি জনসনের কাঁধে। তিনিই একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যার সাক্ষাৎ হয়নি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে।
এরপর ১৯৬৯ সালে ৩৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন আর ১৯৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮তম প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড আর ফোর্ডের সঙ্গে দেখা হয় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। এরপর জিম কার্টার, রোনাল্ড রিগ্যান, জর্জ হার্বার্ট বুশ, বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশের ছেলে জর্জ ওয়াকার বুশের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয় রানির।
আরও পড়ুন…আবারও রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
২০০৮ সালে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন বারাক ওবামা। এর ঠিক এক বছর পর ২০০৯ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করেন ওবামা। এরপর ২০১১ ও ২০১৬ সালে আরও দুবার রানির দেখা পান তিনি।যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০১৭ সালে ক্ষমতায় বসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর ঠিক পরের বছরই যুক্তরাজ্যে সংক্ষিপ্ত সফর করেন তিনি। আলোচিত ও সমালোচিত এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সে সময় সাক্ষাতের কথা না থাকলেও প্রটোকল ভেঙে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন…হাতিয়াতে ৩২০০ লিটার ডিজেল জব্দ
সবশেষ ২০২১ সালে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ব্রিটেন সফর করেন। এ সময় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে লন্ডনের উইন্ডসর ক্যাসলে সাক্ষাৎ হয় তাদের।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করেছেন। সাংবাদিকদের শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) তিনি এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমি এখনও বিস্তারিত জানি না। তবে আমি যাচ্ছি।’ খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।বাইডেন ওহিয়োর কলম্বাস ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরের উদ্দেশে এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ার আগে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে বলেন, তিনি এখনও রানির ছেলে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে কথা বলেননি।
আরও পড়ুন…ব্লাউজের বোতাম খুলে দেখালেন অভিনেত্রী
ওহিয়োতে তার বক্তৃতা করার কথা রয়েছে।রানির শেষকৃত্যানুষ্ঠানের তারিখ এখনও নিশ্চিত হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে ১৯ সেপ্টেম্বর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল ৪০ বছর আগে। রানির মৃত্যুতে শোক জানিয়ে তিনি বলেন, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন অতুলনীয় মর্যাদার এবং শান্ত প্রকৃতির।গত বছর বাইডেন বলেছিলেন, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাকে তার মায়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন…সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে মন্ত্রিপরিষদের শোক
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রানির মৃত্যুর পর বাইডেন বলেছিলেন, রানির সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৮২ সালে। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের একজন তরুণ সিনেটর হিসেবে যুক্তরাজ্য সফরে গিয়েছিলেন তিনি। তাদের শেষ সাক্ষাৎ হয় ২০২১ সালের জুনে।
ওই বছর শিল্পোন্নত দেশগুলোর নেতাদের এক বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন বাইডেন।ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সিংহাসনে সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে আসীন ও বিশ্বের প্রবীণতম রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।
আরও পড়ুন…২৬ সেপ্টেম্বর থেকে চীনে ফিরবেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন জাপানের সম্রাট নারুহিতো ও প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জাপানের সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।ঐতিহ্যগতভাবে দেশে কিংবা বিদেশে কারও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত থাকেন না জাপানের সম্রাট।
তবে এবার প্রয়াত ব্রিটিশ রানির শেষকৃত্যে থাকার পরিকল্পনাকে ব্যতিক্রমী বলে মনে করা হচ্ছে।১৯৯৩ সালে জাপানের সাবেক সম্রাট আকিহিতো বেলজিয়ামের প্রয়াত রাজা বদুইনের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেন। পিতার অনুসৃত পথে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সম্রাট নারুহিতো।
আরও পড়ুন…ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ
তবে চলতি মাসের ২৭ তারিখে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত থাকবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। সম্রাটের পরিবর্তে যুবরাজ ফুমিহিতো সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটেনের রাজপরিবারের সঙ্গে জাপানের রাজপরিবারের ঐতিহাসিক সখ্যতা রয়েছে। সম্রাটের পরিবারের অনেকেই নিজেদের ছাত্রজীবনের একটি অংশ ব্রিটেনে কাটিয়েছেন। সম্রাট নারুহিতোও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন।
আরও পড়ুন…জবিতে বায়োটেকনোলজি কুইজ-২০২২ এর রেজিস্ট্রেশন চলছে
রাজপরিবারের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপালন করে জাপানের ইম্পেরিয়াল হাউসহোল্ড এজেন্সি। তারা জানিয়েছে, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে সম্রাট দম্পতি ও সেই সঙ্গে সাবেক সম্রাট আকিহিতো ও সাবেক সম্রাজ্ঞী মিচিকো শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে তিন দিনের শোক পালন করছেন।
রানি এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে ১৯ সেপ্টেম্বর। এতে বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। জাপানির গণমাধ্যম জানিয়েছে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পারেন নারুহিতো ও কিশিদা।
আরও পড়ুন…দেশের ১৫টি জেলায় জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা
সেক্ষেত্রে ২০১৯ সালের মে মাসে সিংহাসনে আরোহণের পর এটাই হবে সম্রাট নারুহিতোর প্রথম বিদেশ সফর।২০২০ সালে সম্রাট নারুহিতো ও সম্রাজ্ঞী মাসাকোর প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর হিসাবে ব্রিটেন যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সেই ভ্রমণ পরিকল্পনা বাতিল করে দিতে হয়।
যুবরাজ থাকা অবস্থায় সম্রাট হিরোহিতোর পক্ষে ১৯৫৩ সালে রানি এলিজাবেথের অভিষেকে যোগ দিয়েছিলেন সাবেক সম্রাট আকিহিতো। সম্রাট হিরোহিতো নিজেও পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে ব্রিটেন সফর করেন।
আরও পড়ুন…সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারী সাজেদা চৌধুরীর প্রস্থান
বর্তমান সম্রাটের পিতা সাবেক সম্রাট আকিহিতো ১৯৯৮ সালে প্রথম বিদেশ সফরের গন্তব্য হিসাবে ব্রিটেনকে বেছে নিয়েছিলেন। পরে ২০১২ সালে রানি এলিজাবেথের অভিষেকের হীরক জয়ন্তীতে আরও একবার তিনি ব্রিটেন সফর করেন।
ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসন অলংকৃত করে রাখা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্বনেতারা। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ভারত, কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন…ব্রিটিশ রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু
এছাড়া শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রানীর অন্তেষ্টিক্রীয়ায়।
৯৬ বছর বয়সী রানি এলিজাবেথ তাঁর জীবদ্দশায় বিশ্বের শতাধিক দেশ সফর করেছেন। সব দেশের মানুষ তাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন।হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা মর্মাহত। রানির পরিবারের সদস্য ও যুক্তরাজ্যবাসীর সঙ্গে আমরা হৃদয় থেকে পাশে আছি।’
আরও পড়ুন…শাহীন চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারসহ দশ দফা দাবিতে জবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন রানির চেয়েও বেশি কিছু। তিনি একটি যুগের নির্ধারক।সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ একজন অত্যন্ত সুন্দর এবং দারুণ নারী ছিলেন। আমি এবং মেলিনা তার বিদায়ে অত্যন্ত ব্যাথিত।
আমার পরিবার ও সব মার্কিনি রাজপরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাই।’এ ছাড়াও রানির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছেন, রাজার মায়ের মৃত্যুতে শোক জানাচ্ছি। আমরা তার প্রতি আমাদের আনুগত্য ও ভক্তি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন…যমজ সন্তানের আলাদা বাবা; ডিএনএ টেস্টের পর স্ত্রীর স্বীকারোক্তি
রানির মৃত্যুর খবরে আমরা সবাই বিপর্যস্ত। এটি আমাদের দেশ ও বিশ্বের জন্য বড় ধরনের আঘাত।বক্তব্যে লিজ ট্রাস রানি এলিজাবেথকে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, একটি পাথর যার ওপর আধুনিক ব্রিটেন নির্মিত হয়েছে। তার জন্যই ব্রিটেন আজ মহান দেশ। রানি ছিলেন লিজ ট্রাসসহ অনেক ব্রিটিশ নাগরিকের অনুপ্রেরণা।
তার নিষ্ঠা আমাদের সবার জন্য অনুকরনীয়।কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, তিনি ছিলেন মহান ও সুন্দর একজন নারী। তার মতো কেও ছিল না। তিনি ছিলেন আমার পছন্দের মানুষদের মধ্যে অন্যতম।
আরও পড়ুন…ভারত সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী
তাকে মিস করব।ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এলিজাবেথের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, তিনি ছিলেন দয়ালু হৃদয়ের মানুষ এবং ফ্রান্সের ঘনিষ্ট বন্ধু।রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছে রানির মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অনেক দশক ধরে দ্বিতীয় এলিজাবেথ যথাযথভাবে তার প্রজাদের ভালোবাসা এবং সম্মানের পাশাপাশি বিশ্ব মঞ্চে কতৃত্ব বজায় রেখেছিলেন।ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টোলেনবার্গ বলেছেন, ‘রানি এলিজাবেথের বিদায়ে আমি গভীরভাবে ব্যাথিত। ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি নিঃস্বার্থভাবে জনগণের সেবা করে গেছেন। রাজপরিবারের সদস্যদের প্রতি আমার সহমর্মিতা।
আরও পড়ুন…শিরোপা জয়ে পাকিস্তানকে ১৭১ রানের টার্গেট শ্রীলংঙ্কার
নেদারল্যান্ডসের রাজা আলেক্সান্ডার ও রানি ম্যাক্সিমা এলিজাবেথের স্মরণে বলেছেন, তিনি ছিলেন নিজ সিদ্ধান্তে অবিচল ও জ্ঞানী একজন শাসক। তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাজ্য সফরকালে রানির সঙ্গে স্মরণীয় সাক্ষাতের স্মৃতিচারণা করে শোক জানিয়েছেন।
ইবাংলা/তরা/১২ সেপ্টেম্বর ২০২২