ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ইউএনও‘র বিরুদ্ধে!

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে আবু জাফর নামের এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে নিহতের ভাই সালাউদ্দিন ঠান্ডু সোমবার (৩ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসক বরারব লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নিহত আবু জাফর দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় বাচামারা বাজারে বিকাশ ও ফ্রিজের দোকান চালাতেন।অভিযোগ পত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৬ জুলাই করোনা মহামারির সময় উপজেলার বাচামারা বাজারে আনসার সদস্যদের নিয়ে অভিযান চালান ইউএনও ইমরুল হাসান।

আরও পড়ুন…আরো ২ দিন চলবে করোনা টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ

এ সময় আবু জাফরের দোকান খোলা পেয়ে তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও। জরিমানা শেষে জাফরকে গালাগালও করেনএক পর্যায়ে এক আনসার সদস্যের কাছ থেকে বন্ধুক নিয়ে জাফরকে তিনি বেধড়ক পেটাতে থাকেন। জাফরের আর্তচিৎকারে তার বড় ভাই সালাউদ্দিন ঠান্ডু এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করেন এবং ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত জাফর দীর্ঘ ৯ মাস ১৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাড়িতে মারা গেছেন।নিহতের ভাই সালাউদ্দিন ঠান্ডু বলেন, ‘ইউএনও এর ভয়ে এতোদিন অভিযোগ করতে পারিনি। আগে দেখা হলেই তিনি হত্যার হুমকি দিতেন। কিন্তু ভাই মারা যাওয়ার পর ছোট ভাতিজা ও ভাতিজীর কথা ভেবে বাধ্য হয়ে বিচারের জন্য অভিযোগ করেছি।

তিনি আরো জানান, নির্যাতনের কারণে তারও ঘাঁড়ের হাড় ভেঙে গেছে। এখন তিনিও পঙ্গুপ্রায়। এসময় তিনি কান্নাস্বরে বলেন, ইউএন’র জন্য আমার ৫ বছরের ভাতিজা আলামিন ও এক বছরের ভাতিজি তাহমিনা এতিম হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। একজন সরকারি কর্মকর্তা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। এ জন্য কি বিচার হবে না?

অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও ইমরুল হাসান বলেন, যেহেতু অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। এ কারণে তদন্ত চলাকালীন কিছু বলবো না।এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, লিখিত অভিযোগের পর তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত রির্পোটে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

ইবাংলা/টিএইচকে