পূর্বঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ শনিবার (২২অক্টোবর) দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে সব আয়োজন ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে খুলনা মহানগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় সমাবেশ করবে দলটি।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সফল করতে সমাবেশস্থল ও এর আশেপাশে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এ ছাড়া শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করতে ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। থাকবে ড্রোন ক্যামেরার নজরদারি।
আরও পড়ুন…মিথ্যা সংবাদ প্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংবাদ সম্মেলন
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতেই সম্পন্ন হয় মঞ্চ তৈরির কাজ। আটটি পয়েন্টে বসানো হয়েছে প্রজেক্টর।সমাবেশ মঞ্চ থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১২০টি মাইক টানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক মন্ত্রী আবদুল মঈন খান, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও খুলনার গণসমাবেশের প্রধান উপদেষ্টা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখবেন।
এদিকে শনিবার ভোর থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দলটির হাজারো নেতাকর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ অভিমুখে রওনা হয়েছেন। নেতাকর্মীদের মিছিল স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে দলীয় কার্যালয়সহ আশেপাশের এলাকা।
সমাবেশ সফল করতে দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ট্রাক, মাইক্রোবাস, ট্রেন ও নৌকায় করে খুলনায় পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।
গণসমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাতে খুলনা শহরের সোনালী ব্যাংক চত্বরে পৌঁছান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে চরম দূর্ভোগে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রহকরা!
এদিকে, বিএনপির নেতারা বলছেন, সমাবেশে যেতে অনেক বাস ও মাইক্রোবাসের ভাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বাস মালিকরা অগ্রিম যে টাকা নিয়েছিল, তা ফেরত দিচ্ছেন। এসব করে গণসমাবেশ প্রতিহত করতে পারবেন না। অনেকে আগেই খুলনায় পৌঁছে গেছে। বাকিরাও বিকল্প উপায়ে পৌঁছে যাবে।এদিকে শুক্রবার রাতে দলীয় কার্যালয়ে বালিশ-কাঁথা নিয়ে অবস্থান করেছেন দলটির হাজারো কর্মী-সমর্থক।
ইবাংলা/জেএন/২২ অক্টোবর ২০২২