চীনা প্রযুক্তিতে উগান্ডার কয়েক মিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে সক্ষম হবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সম্প্রতি উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা শহরের উপকণ্ঠে একজন স্থানীয় কর্মী পুকুরের মাছকে জাব দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে চীনা মৎস্য বিশেষজ্ঞ ছেন থাইহুয়া’র সঙ্গে কথা বলেন। ছাপ্পান্ন বছর বয়সী ছেন থাইহুয়া বলেন, চীনের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি এখানে নিয়ে আসলে উগান্ডার কয়েক মিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে সক্ষম হবে।

উগান্ডা মৎস্য গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র হলো চীন-উগান্ডা মৈত্রী কৃষি প্রযুক্তি দৃষ্টান্তমূলক কেন্দ্র। পাশাপাশি, চীন-জাতিসংঘ কৃষি ও খাদ্য সংস্থা—উগান্ডা (তৃতীয়) দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতামূলক প্রকল্প মত্স্য দৃষ্টান্তমূলক ঘাঁটি। সেখানকার মৎস্য নিষ্কাশন ও সেচ ব্যবস্থা চীনা প্রযুক্তি দিয়ে নির্মিত। ২০২২ সালের নভেম্বরে ছেন থাইহুয়াসহ ৯ জন চীনা কৃষি বিশেষজ্ঞ উগান্ডায় এসে তিনবছরব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি সহযোগিতা কর্তব্য শুরু করেন।

আরও পড়ুন…অপরাজনীতি বন্ধের আহ্বান চীনের

ছেন থাইহুয়া বলেন, প্রযুক্তির অভাবে দেশটির মৎস্য চাষের ট্রায়াল ও ত্রুটির খরচ বেশি। স্থানীয় কৃষি মৎস্য চাষ করার উদ্দীপনা বেশি নয়। ধানে মৎস্য চাষসহ ব্যবহারিক মৎস্য প্রযুক্তি তুলে ধরা ধানের কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ খরচ কমানোর পাশাপাশি মৎস্য দ্রব্য আয় পাওয়া যায়।

উগান্ডা কৃষি, পশুপালন শিল্প ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ কৃষি ভিত্তিক। দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা প্রকল্পের প্রথম দুই পর্ব প্রযুক্তিগত রূপান্তর ত্বরান্বিত করেছে। সেসঙ্গে কৃষি, পশুপালন শিল্প ও মত্স্য পরিমাণ উন্নত করেছে এবং উৎপাদন শক্তি বাড়িয়েছে।

তৃতীয় প্রকল্পে উগান্ডার সমন্বয়কারী পিটার মুইনবো জানান, এ পর্যায়ে চীনা বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তিবিদ স্থানীয় কৃষকদের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি ভাগাভাগি করবেন। কার্যকর প্রক্রিয়ায় উগান্ডা খাদ্য নিরাপত্তা এবং চরম দারিদ্র্য নির্মূল ক্ষেত্রে চীনের অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।

কৃষি বিশেষজ্ঞ গ্রুপের প্রধান জাং শিয়াও ছিয়াং বলেন, তৃতীয় প্রকল্প প্রধানত “চীন-উগান্ডা মৈত্রী কৃষি প্রযুক্তি দৃষ্টান্তমূলক কেন্দ্র” এবং “চীন-উগান্ডা কৃষি সহযোগিতা শিল্প পার্ক” দু’টো প্ল্যাটফর্ম কাজে লাগিয়ে প্রথম দু’পর্যায়ের ফলাফল সুসংহত ও সম্প্রসারণ করে আরো বিশাল মাত্রায় চীনের অগ্রণী ব্যবহারিক প্রযুক্তি তুলে ধরা হবে, যাতে করে উগান্ডা খাওয়া-পরা সমস্যা সমাধানের কৃষি থেকে বাণিজ্যিক কৃষিতে পরিণত হতে পারে।

তিনি এই পর্যায়ের প্রকল্প চীন ও উগান্ডার মধ্যে আরো বেশি কৃষি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ত্বরান্বিত করে বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম কাজে লাগিয়ে উগান্ডার উৎকৃষ্ট কৃষি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি আরো বেশি কৃষি প্রতিষ্ঠানকে উগান্ডায় বিনিয়োগ আকর্ষণ করার প্রত্যাশা করেন।

আরও পড়ুন…চুক্তিভিত্তিক ফের আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন

উল্লেখ্য, চীন, জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ও উগান্ডা ২০১২-২০১৪ সাল, ২০১৬-২০১৮ সালে পর পর দু’পর্যায়ের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা প্রকল্প কার্যকর করেছে। উগান্ডার খাদ্য নিরাপত্তা মান উন্নত করার জন্য ৪৭ জন চীনা বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তিবিদ সেখানে গিয়েছেন। সূত্র:প্রেমা/এনাম: সিএমজি।

ইবাংলা/জেএন/৯ জানুয়ারি, ২০২৩

দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে সক্ষম হবে