বঙ্গবাজারে আগুন নেভাতে গিয়ে আহত ৮ ফায়ার কর্মী

রাজধানীর বঙ্গবাজারে মার্কেটে লাগা ভয়াবহ আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের আট সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুজনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস অধিদফতরের গেটে বিফ্রিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

আরও পড়ুন: তাইজুল-মিরাজের ঘূর্ণিতে ধুঁকছে আয়ারল্যান্ড

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি জানান, সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৪৮টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সেনা, নৌ, বিমান ও বিজিবির সাহায্যকারী দল। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ধোঁয়ায় ফায়ার সার্ভিসের আট কর্মী আহত হয়েছেন।

এদিকে আগুন নেভানোর সময় বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের ওপর হামলা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ডিজি এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগুন লাগা মার্কেটটি এবং ফায়ার সার্ভিসের অফিস রাস্তার এপাশ-ওপাশ। আমি ফায়ার সার্ভিসের ডিজি হিসেবে বলতে চাই, আমাদের ওপর কেন হামলা হলো? কারা করেছে? এ ঘটনায় তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মাইন উদ্দিন জানান, আজকে আগুনে ফায়ার সার্ভিসের আটজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন ক্রিটিক্যাল অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনিস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে পুড়েছে ৫ হাজার দোকান: মালিক সমিতি

দেশের এবং মানুষের নিরাপত্তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অফিসার ও সব পদবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানুষের জন্য জীবন দেন। গত এক বছরে ১৩ জন ফায়ার ফাইটার শহীদ হয়েছেন। তারা ফাইটার অগ্নিবীর খেতাব পেয়েছেন। এছাড়া ২৯ জন আহত হয়েছেন। আজকে আমাদের আটজন সদস্য আহত হয়েছেন। কেন বা কারা ফায়ার সার্ভিসের ওপর আঘাত হানল তা আমার বোধগম্য নয়।

ডিজি বলেন, ফায়ার সার্ভিস সব দুর্যোগে সবার আগে মানুষের পাশে থাকে। কেন আমাদের সদস্যদের ওপর আক্রমণ? কেন আঘাত?’

এর আগে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে গুলিস্তানের বঙ্গবাজারে আগুন লাগে। এর পাশেই ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতর হওয়ায় সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে আগুনের খবর পেয়ে দুই মিনিটের মাথায় ৬টা ১২ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় প্রথম ইউনিট। পরে পানির সংকট ও তীব্র বাতাসের ফলে তীব্রতা বাড়ায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়।

ইবাংলা/এসআরএস