সম্প্রতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম চীন সফর করেছেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। চায়না মিডিয়া গ্রুপ সিএমজিকে তিনি এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তাঁর চীন সফরের অনুভূতি জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, নানা ক্ষেত্রে চীন-মালয়েশিয়ার সহযোগিতা বাড়ানো যায়।
আরও পড়ুন… বুরকিনা ফাসোতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত অন্তত ৪৪
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি এই প্রথম চীন সফর করেছেন। এ সফরের বৃহত্তম সাফল্য হল, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ। এতে সাধারণ বৈঠকের বিষয় ছাড়িয়ে দু’নেতা নিজ দর্শনের ধারণা, মূল্যবোধ, সভ্যতার ধারণা নিয়ে আলোচনা করেছেন। আনোয়ার বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি দারিদ্র্যবিমোচনের চেষ্টা করছেন।
এই সাক্ষাৎকারে চীনের প্রেসিডেন্ট সি মালয়েশিয়াকে দারিদ্র্য অভিজ্ঞতা শেয়ার করা এবং সাহায্য করার আগ্রহ জানান। প্রেসিডেন্ট সি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীরভাবে উপলব্ধি করেন এবং মালয়েশিয়াকে সম্মান দেখিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন আনোয়ার।
আনোয়ার বলেন, চীনের সঙ্গে মালয়েশিয়ার বিশেষ মৈত্রী আছে। দু’দেশ ভালো প্রতিবেশী, ইতিহাসে দু’দেশের মধ্যে কখনই বৈরিতা বা সংঘাত হয় নি। এখন তিনি চীনের মৈত্রী উপভোগ করছেন। মালয়েশিয়ার বেশিরভাগ মানুষ মুসলমান, তিনি এবার চীনে এসে চীনের ইসলাম ধর্মের নেতা এবং চীনের ইসলামিক এসোসিয়েশনের প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেছেন। চীনের মসজিদে তাঁদের সঙ্গে নামাজ পড়েছেন। যা প্রমাণ করে যে, চীন সরকার খুব সহনশীল।
চীন ও মালয়েশিয়ার সহযোগিতা সুষ্ঠু বলে মনে করেন আনোয়ার। চলতি বছর ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ উত্থাপনের দশম বার্ষিকী। সবার আগে এতে যোগ দেওয়া দেশ হিসেবে, মালয়েশিয়া এ উদ্যোগ থেকে খুব লাভবান হয়েছে। সাক্ষাৎকারে দুই নেতা কৃষি, ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে একমত হয়েছেন।
আরও পড়ুন… ইসরায়েলে গুলি-গাড়িচাপায় ১ জন নিহত
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বেগবান করার ক্ষেত্রে আনোয়ার বলেন, আসিয়ান অঞ্চলকে সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঠ বানানো যাবে না। তাই মার্কিন-ব্রিটেন -অস্ট্রেলিয়া তৃপক্ষীয় নিরাপত্তা অংশীদারি সম্পর্ক সম্বন্ধে আসিয়ান দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মালয়েশিয়া বার বার এ কথা বলেছে যে, আন্তর্জাতিক সমাজ আশা করে চীন-মার্কিন উত্তেজনাময় সম্পর্ক প্রশমন করা যাবে। চীনকে হুমকি হিসেবে দেখা ঠিক না। চীন মালয়েশিয়ার জন্য হুমকি নয়। মালয়েশিয়া ‘এক চীন নীতিতে’ অবিচল থাকবে।
ইবাংলা/এইচআর/৯ এপ্রিল ২০২৩