যে দুই আমলে রোজাদারের গুনাহ মাফ হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইবাদত বন্দেগীর মাস মাহে রমজান। এ মাসে রোজা রাখা ফরজ। মহান রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এ মাসে মুসলমানরা ইবাদতে মশগুল থাকে। কারণ গুনাহ থেকে মুক্তি লাভ করার সবচেয়ে ভালো সময় হলো রমজান মাস। এ মাসে বান্দার আমলের সওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়। বান্দাকে গুনাহ থেকে মুক্তি দেওয়া হয় মাসটিতে।

আরও পড়ুন… ইসলামের অনুসারীদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে কি ধর্ম (ইসলাম) প্রযোজ্য 

এ মাসে গুনাহ থেকে মুক্তি লাভের দুটি উপায় বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ১. রাতের বিশেষ নামাজ তারাবি পড়া। ২. রোজাদারকে ইফতার করানো।

রমজান মাসে যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের উদ্দেশ্যে তারাবি পড়লো আল্লাহ তায়ালা তার বিগত জীবনের সব গুনাহ মাফ করে দেবেন।

এ মর্মে হাদিসে এসেছে- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসে তারাবি নামাজ পড়তে উৎসাহিত করতেন, তবে তিনি (সরাসরি) তাগিদ সহকারে আদেশ করতেন না; বরং তিনি এভাবে বলতেন- ‘যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ ঈমানের সঙ্গে এবং সওয়াবের নিয়তে রমজান মাসে (রাতের) নামাজ (তারাবি) পড়ে, তার বিগত (জীবনের) সব (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (মুসলিম, মিশকাত)

আরও পড়ুন… আদনান ওকতার নামে সেই ‘ধর্মগুরুর’ ৮,৬৫৮ বছরের কারাদণ্ড

তারাবি নামাজ ছাড়া গুনাহ থেকে মুক্তি পেতে রমজানের আরেকটি বিশেষ ইবাদত হলো- অন্য রোজাদারকে ইফতার করানো।

এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছে- ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, রমজান মাসে যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহগুলো মাফ হয়ে যাবে। সে দোজখ থেকে মুক্তি পাবে আর সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে, কিন্তু এতে রোজাদারের সওয়াব থেকে কিছুই কমানো হবে না।’

ইবাংলা/এইচআর/১০ এপ্রিল ২০২৩

আমলেরোজাদারে