স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের পড়াবে চ্যাট জিপিটি

পৃথিবীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থান হয়েছে। বুদ্ধিতে এগিয়ে ওপেন এআই উদ্ভাবিত চ্যাট জিপিটি। এই প্ল্যাটফর্মটির নেতিবাচক দিকগুলো উপেক্ষা করে ব্যবহার করা যেতে পারে ইতিবাচক দিক। শিক্ষাক্ষেত্রে সহজেই কাজে লাগতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার টুল। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও সুবিধা নিতে পারেন এই নতুন প্রযুক্তির।

বর্তমানে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) জীবনের সব ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এআই-এর মাধ্যমে অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্র বিভিন্ন উপায় প্রভাবিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারও শিক্ষাক্ষেত্রে এআই-এর প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব স্বীকার করেছে।

এই নতুন এআই প্রযুক্তি স্কুল ও উচ্চশিক্ষা উভয় ক্ষেত্রেই শেখার, মূল্যায়নের, পরিকল্পনায় প্রযুক্তিগত সাহায্য করে। সেইসাথে শিক্ষাগত উভয় ক্ষেত্রেই বিস্তৃত গবেষণার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানোর প্রস্তাব বুদ্ধিজীবী শ্রেণি।

আরও পড়ুন>> ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়

এআই চালিত চ্যাটবটগুলো কয়েক দশক ধরে প্রযুক্তিগত ল্যান্ডস্কেপের একটি অংশ। কিন্তু ন্যাচারাল ল্যাঙ্গোয়েজ প্রসেসিং (এনএলপি) ও মেশিন লার্নিং (এমএল) সেভাবে গতি না পাওয়ায় এআই সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি।

চ্যাট জিপিটি মানুষের মতো অনুভূতির বিশ্লেষণ করে তা প্রযুক্তিতে ব্যবহার করতে পারে। গুগলের বার্ড এখনও একটি পরীক্ষামূলক এআই পরিষেবা। এটি কেবল পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। মাইক্রোসফ্টের বিংকে ইতিমধ্যেই চ্যাট জিপিটির সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে। যা সার্চ ছাড়াও , চ্যাট ও প্রোডাক্ট তৈরির পরিষেবা দিয়ে থাকে।

চ্যাট জিপিটি চালানোর জন্য ওপেন আই মাইক্রোসফটের আজুর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। যা এই কম্পিউটিং সিস্টেমকে মডেল প্রশিক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল পরিমাণ ডেটা দিয়ে থাকে।

যখন ওপেন এআই নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তখন মাইক্রোসফট একে ২০১৯ সালে অর্থ সাহায্য করেছিল। পরে ২০২১ ও ২০২৩ সালের প্রথম দিকেও ওপেন এআইকে সাহায্য় করেছিল মাইক্রোসফট। সাম্প্রতিককালে তার তৃতীয় পর্যায়ের ফান্ডিং করে মাইক্রোসফট। বর্তমানে আগের আজুর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেই চ্যাটজিপিটির প্রযুক্তিকে আরও শক্তিশালী করা হবে।

চ্যাট জিপিটি কীভাবে শিক্ষকদের সাহায্য করতে পারে ?

চ্যাটজিপিটি শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট ও পরীক্ষার গ্রেডিং স্বয়ংক্রিয় করতে পারে, যার ফলে শিক্ষকরা অন্যান্য কাজে মনোনিবেশের বেশি সুযোগ পাবেন। বক্তৃতা, অ্যাসাইনমেন্ট, সফ্টওয়্যার কোডিং, প্রেজেন্টেশন, ড্রাফট শুরু করার জন্য চ্যাট জিপিটি বা এর যেকোনো উন্নত মডেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি অবশ্যই শিক্ষার্থীদের খসড়া কাঠামো, বিন্যাস, ই-মেইল ও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারে। এটি গবেষকদের প্রাসঙ্গিক সোর্স দিতে পারবে, যেমন কেউ বিংয়ে অনুসন্ধানের জন্য ব্যবহার করে।

ইবাংলা/এসআরএস

চ্যাট জিপিটি