ভারতের দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে নরেন্দ্র মোদির সরকারি বাসভবনে ওই বৈঠক শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলে। দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজের ফেরিফায়েড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি। বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই একই পোস্ট দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন>> যৌন নিপীড়নের দায়ে হাবিপ্রবিতে ২ ছাত্র বহিষ্কার
পোস্টে নরেন্দ্র মোদি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ১টা ৪০) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জার্দোশ শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান। তারও আগে বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী ও সফরসঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরের মধ্যদিয়ে দেশটির সঙ্গে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে এ বৈঠক নিয়ে অনেকের আগ্রহ রাজনৈতিক বিষয়ের দিকে। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এটি শেষ বৈঠক।
জি-২০’র বর্তমান সভাপতি ভারত যে নয়টি দেশকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। শেখ হাসিনার এই সফর এমন এক সময় হচ্ছে যখন বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে।
বলা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার এই ভারত সফর বর্তমান সরকার তথা আওয়ামী লীগের জন্য রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
ইবাংলা/এসআরএস