আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহেদ আলীর নির্বাচনী সভা। গত শনিবার (৬ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জে আচরণবিধি অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী সভা–সমাবেশ আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তা মানা হচ্ছে না।
আচরণবিধির তোয়াক্কা না করেই নিয়মিত সভা–সমাবেশ, মিছিল, মোটরসাইকেল মহড়াসহ নানা ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহেদ আলী ও আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মিজানুর রহমান।
জাহেদ আলী কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে আছেন তিনি। ইউনিয়নটিতে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে নৌকা প্রতীকের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানুর রহমান।
তিনি কায়েতপাড়া ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ইউনিয়নটির বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে আছেন মিজানুর।
- গত কয়েক দিনে ইউনিয়নটিতে সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণারও অন্তত ছয় মাস আগ থেকে এই দুই প্রার্থী বিভিন্ন সভা–সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ ও মিছিল করছেন প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা। এসব প্রচারণার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিচ্ছেন কর্মী–সমর্থকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রোববার (৬ নভেম্বর) জাহেদ আলীর পক্ষে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে একটি শোভাযাত্রা বের করে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। তার আগে শনিবার পূর্বগ্রাম, শুক্রবার বরালু, বৃহস্পতিবার চনপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় জাহেদ আলীর পক্ষে সমাবেশ ও মিছিল করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কায়েতপাড়ার দক্ষিণপাড়া এলাকায় একটি মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে হিন্দুধর্মালম্বীদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চান জাহেদ আলী।
অন্যদিকে গতকাল ও শনিবার (৬ নভেম্বর) ইছাখালি এবং নগরপাড়ায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেন মিজানুরের সমর্থকেরা। শুক্রবার নাওড়া ও বৃহস্পতিবার বরুনা এলাকায় মিজানুরের পক্ষে মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) মনোনয়ন বাছাইয়ের দিনে নিজেদের পক্ষে মিছিল ও মোটরসাইকেলবহর নিয়ে উপজেলা চত্বরে হাজির হন এই দুই প্রার্থী। দুই প্রার্থীর মুখোমুখি অবস্থান ও স্লোগানে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা চত্বরে সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ।
নিয়ম উপেক্ষা করে মিছিল ও নেতা–কর্মীদের নিয়ে উপজেলা চত্বরে অবস্থান ও স্লোগান দেওয়ায় মনোনয়ন বাছাইয়ের আগে প্রার্থীদের মৌখিকভাবে সতর্কও করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
ইবাংলা/ টিআর/ ৭ নভেম্বর/ ২০২১