নেই কোনো বাড়তি আয়োজন। একেবারে সাদামাটাভাবে পর্দা উঠল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দশম আসরের। তবে, উদ্বোধনী ম্যাচের প্রথম ভাগে শরিফুল ইসলামের হ্যাটট্রিক কিছুটা হলেও মাতিয়েছে দর্শকদের। দুর্দান্ত ঢাকার শরিফুলের হ্যাটট্রিকে ১৪৩ রানে থামতে হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে
বিপিএলে এবারের আসরের প্রথম ম্যাচে নতুন নামে আসা দুর্দান্ত ঢাকা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে বেছে নেয় বোলিং। আগে বোলিং নিয়ে শুরুটাও দারুণ করে স্বাগতিকরা।
কুমিল্লার দলীয় ২৩ রানে তুলে নেয় বড় উইকেট ঢাকা। ফিরিয়ে দেয় ওপেনার লিটন দাসকে। চতুর্থ ওভারে ডি সিলভার ডেলিভারিতে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুমিল্লার অধিনায়ক। ফেরার আগে সমান একটি করে চার-ছয়ে করেন ১৩ রান।
অষ্টম ওভারে আরেকটি সুযোগ পায় ঢাকা। উইকেটে এসে রান তোলার আগেই থামাতে পারত ইমরুল কায়েসকে। সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে কাজটা এগিয়ে দেন তিনি। কিন্তু, সেই ক্যাচ লুফে নিতে পারলেন না ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
সেই যাত্রায় জীবন পেয়ে থিতু হয়ে যান ইমরুল। ২৩ রানে জীবন পাওয়া ইমরুল ৪৬ বলে পেয়ে যান এই বিপিএলে নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। তার সঙ্গী হিসেবে দারুণ সাপোর্ট দেন তাওহিদ। জাতীয় দলের দুই তারকা তাসকিন আহমেদ কিংবা শরিফুল—দুজনই এই জুতি ভাঙতে মরিয়া ছিলেন। শেষ পর্যন্ত সফল দুজনই। শেষের দিকে দুই তারকা মিলে পাঁচ উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দেন কুমিল্লাকে।
প্রথমে নিজের দ্বিতীয় স্পেলে এসে তাসকিন ভাঙেন তাওহিদের প্রতিরোধ। তাওহিদ ৪১ বলে ৪৭ রান করে থেমেছেন। যাতে ছিল দুটি ছক্কা ও একটি চারের মার।
একই ওভারের শেষ বলে ইমরুলকেও মাঠ ছাড়া করেন তাসকিন; ৬৬ রানে থামান ইমরুলকে, ৫৬ বলে যা সাজানো ছিল ছয় বাউন্ডারি আর দুই ছক্কায়।
তাসকিনের পর শরিফুলও পেয়ে যান উইকেটের দেখা। নিজের শেষ ওভারে এসে তিনি পেয়ে যান টানা তিন শিকার। প্রথমে চারে নামা খুশদিলকে টিকতে দেননি শরিফুল। এরপর বিদায় করেন রস্টন চেজকে। আর শেষ বলে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসেন ঢাকার হয়ে খেলা শরিফুল।
ঢাকার জার্সিতে হাত ঘুরিয়ে ২৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন শরিফুল। ৩০ রান খরচায় তাসকিন নেন দুটি। ডি সিলভা সমান এক উইকেট নিতে দেন ২২ রান।