বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, এমপি বলেছেন,‘দেশে এমন একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আত্মপ্রকাশে একদিকে আমি যেমন গর্বিত, তেমনি ঈর্ষান্বিতও’ এ কারনেই যে আমাদের সময়ে এটা ছিলনা। সাংস্কৃতিতে উচ্চশিক্ষাদানের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়ীক কর্মমূখর প্রজন্ম তথা জাতি গঠনের লক্ষ্যে এখন থেকে দুই যুগ আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মপ্রকাশের ব্যাপারটি সত্যিই প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, ব্যাতিক্রম ও যুগোপযোগী বিষয়ের জন্য কর্মমূখী, সৃজনশীল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবেও এর পরিচিতি রয়েছে বলে শুনেছি। অত্র অঞ্চলের প্রথম ডিজাইন বিশেষায়ীত সাংস্কৃতিক তথা সৃজনশীল বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিদার এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও আদর্শের পদাংক অনুসরণ করে করে গড়ে তুলেছেন প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইমামুল কবীর শান্ত। এমন এক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁকে ও সংশ্লিষ্টদের সাধুবাদ জানাই ও একই সঙ্গে এর উত্তরোত্তোর সাফল্য কামনা করছি।
আরও পড়ুন>> বইমেলাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর উত্তরায় শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ফল ও সামার সেমিস্টার ২০২৩ এর নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ-ই-আলম।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন; বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান বরেণ্য শিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পী অধ্যাপক হাশেম খান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর শামসুন নাহার ও রেজিস্ট্রার ড. পাড় মশিয়ূর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষক, কর্মকর্তাগণ।
তথ্য প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের এই যুগে একটু সচেতন হলে শুধু জব হোল্ডার নয়, উদ্যোক্তা হিসেবেও সফল হওয়ার নির্দেশনা ও পরামর্শসহ র্যাফেল ড্রো ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রায় দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান।
ইবাংলা/এসআরএস