চতুর্থবারের মতো নোবেলের মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া বলে পরিচিত ইসরায়েল ও আরব বিশ্বের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা চুক্তির মধ্যস্থতা করার উদ্যোগ নেওয়ার কারণে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছেন ক্লডিয়া টেনি নামে দেশটির রিপাবলিকান এক জনপ্রতিনিধি। ফলে এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো শান্তিতে নোবেলের জন্য মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

গত মঙ্গলবার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের রিপাবলিকান এমপি ক্লডিয়া টেনির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দ্য ইকোনমিক টাইমস।

আরও পড়ুন>> জনগণ নির্বাচনে সাড়া দিয়ে বিএনপিকে লালকার্ড দেখিয়েছে: নানক

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৩০ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প কার্যকর ভূমিকা নিয়েছিলেন। দশকের পর দশক ধরে আমলা, বিদেশি নীতি-সংক্রান্ত পেশাদাররা, আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো বার বার দাবি করছিল ইসরায়েল ও প্যালেস্টাইন সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি রক্ষা করা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল, বাহরাইন, মরক্কো, সুদান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে শান্তি ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেন। তিনি দেখিয়েছিলেন কীভাবে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হয়।

মূলত আব্রাহাম চুক্তির জন্যই তার নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হচ্ছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই চুক্তি হয়েছিল।

দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গেছে, রিপাবলিকান জনপ্রতিনিধি ক্লডিয়া টেনির দাবি, বর্তমানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অত্যন্ত দুর্বল নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই দুর্বল নেতৃত্ব আমেরিকার সামনে আতঙ্কের ও নিরাপত্তাহীনতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

টেনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতে পেরে নিজে সম্মানিত বোধ করছি। সেইসঙ্গে মনে করছি এই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য তিনি।

তবে এবারই প্রথম নয়, আব্রাহাম চুক্তির জন্য ট্রাম্প এর আগেও মনোনীত হয়েছিলেন। এর আগে ২০২০ সালে নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য খ্রীসটান টাইব্রিং জেড্ডে এই পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম মনোনীত করেছিলেন। তার যুক্তি ছিলো ট্রাম্প ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমির-শাহীর মধ্যে শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন।

ইবাংলা/এসআরএস