বিপিএল দশম আসরে হতশ্রী দশা সিলেট স্ট্রাইকার্স ও দুর্দান্ত ঢাকার। দু’দলই জিতেছিল কেবল একটি করে ম্যাচ। দ্বিতীয় জয়ের সন্ধানে মিরপুরে মুখোমুখি হয়েছিল তারা। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দলদুটির লড়াইয়ে হেসেছে সিলেট। রায়ান বার্ল-বেনি হাওয়েলের অনবদ্য জুটিতে ঢাকাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে তারা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ঢাকাকে ব্যাটে পাঠান সিলেট অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১২৪ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। জবাবে নেমে ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে সিলেট।
হাঁটুর চোটে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খেলতে নামেননি দুর্দান্ত ঢাকার নিয়মিত অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তার পরিবর্তে ঢাকাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় সিলেট। সামিত প্যাটেলকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান শরীফুল ইসলাম। তৃতীয় ওভারে ১৭ রানে দ্বিতীয় শিকারও এনে দেন টাইগার পেসার। ৯ বলে ৮ রান করা হ্যারি টেক্টরকে ফেরান উইকেটরক্ষক ইরফান শুক্করের ক্যাচ বানিয়ে।
৫.৪ ওভারে তৃতীয় ব্যাটারকে হারায় সুরমাপাড়ের দলটি। ৯ বলে ৮ রান করে ফেরেন জাকির হাসান। ৮.৩ ওভারে ৬২ রানে ফিরে যান মিঠুন। ১২ বলে ১৭ রান করেন সিলেট অধিনায়ক। ১১তম ওভারের প্রথম বলে উইকেট গিফট করে নাজমুল হোসেন শান্ত। উসমান কাদিরের বল সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়। বল তালুবন্দি করেন কাদির নিজেই। ছয়টি চারে ২৫ বলে ৩৩ রান করেন শান্ত।
পরে বেনি হাওয়েল ও রায়ান বার্লের ৫৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয়ের বন্দরে নোঙর করে সিলেট। ২৬ বলে ৩০ রান করেছেন হাওয়েল, আর বার্ল করেন ৩১ বলে ২৯ রান।
ঢাকার হয়ে শরীফুল ইসলাম নেন তিন উইকেট। এছাড়া উসমান কাদির নেন দুটি উইকেট।
এর আগে ব্যাটে নেমে ইনিংসের চতুর্থ বলেই উইকেট হারায় ঢাকা। ৪ বলে ৪ রান করে ফিরে যান সাব্বির হোসেন। শুরুতে উইকেট হারালেও নাঈম শেখ ও সাইফ হাসানের ৭৮ রানের জুটিতে চাপ সামলিয়ে ওঠে ঢাকা। ১০.১ ওভারে সাইফ হাসান ফিরে যান ছয়টি চার ও এক ছক্কায় ৩২ বলে ৪১ রান করে। পরের ওভারে নাঈম শেখের উইকেটও হারায় ঢাকা। দুটি করে চার ও ছক্কায় ২৯ বলে ৩৬ রান করেন এই ওপেনার।
৮৪ রানে তিন ব্যাটারকে হারানোর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা। পরের নয় ওভারে কেবল ৩০ রান যোগ করতে পারে তারা।
সিলেটের হয়ে রেজাউর রহমান রাজা নেন তিন উইকেট। সামিত প্যাটেল নেন দুটি। এছাড়া বেনি হাওয়েল ও নাইম হাসান নেন একটি করে উইকেট।