বিপিএলের চলতি আসরে প্রথম সেঞ্চুরিটা পেয়েছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তাওহীদ হৃদয়। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে খেলেছিলেন ৫৭ বলে ১০৮ রানের ইনিংস। চট্টগ্রাম পর্বে স্বাগতিকদের বিপক্ষে কোনো রান না করে ফিরতে হয়েছিল। তবে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে এই টপঅর্ডার ফিরেছেন বীরদর্পে। তার ঝড়ো ইনিংসে টানা পঞ্চম জয়ের দেখা পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অন্যদিকে আসরে প্রথম চারে ম্যাচে জয় পেলেও টানা পঞ্চম হার দেখল খুলনা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বুধবার দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে আগের ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন খুলনার অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৬৪ রানের সংগ্রহ গড়ে রূপসা পাড়ের দলটি। জবাবে নেমে ১৬.৩ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে কুমিল্লা।
আগে ব্যাটে নেমে খুলনার ব্যাটাররা তেমন বড় কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি। ২০ বলে সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন এভিন লুইস। এছাড়া আফিফ হোসেন ৩৩ বলে ২৯, মাহমুদুল হাসান জয় ১৯ বলে ২৮, অ্যালেক্স হেলস ১৭ বলে ২২, ওয়েন পার্নেল ১১ বলে ২০ রান ও এনামুল হক বিজয় ১৩ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলেন। বাকী ব্যাটারদের কেউ পৌঁছাতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে।
কুমিল্লার হয়ে মইন আলী ও ম্যাথু ফোর্ড দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া আলিস ও মোস্তাফিজ নেন একটি করে উইকেট।
রানতাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান ওপেনার লিটন দাস। ৩ বলে ২ রান করেন। ৪.৩ ওভারে ৪৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় কুমিল্লা। উইল জ্যাকস ফিরে যান ১০ বলে ১৮ রান করে।
৭.৩ ওভারে জনসন চার্লসের উইকেট হারায় কুমিল্লা। ৮ বলে ১৩ রান করেন এই ক্যারিবীয়ান ব্যাটার। জাকির আলী অনিককে নিয়ে পরে হাল ধরেন একপ্রান্ত আগলে রাখা তাওহীদ হৃদয়। দুই ব্যাটারের অবিচ্ছিন্ন ৮৪ রানের জুটিতে জয় নিশ্চিত হয় কুমিল্লার।
সাতটি করে চার ও ছক্কায় ৪৭ বলে ৯১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন তাওহীদ হৃদয়। তিন ছক্কা ও দুই চারে ৩১ বলে ৪০ রান করেন জাকির।
খুলনার হয়ে ওয়েন পার্নেল, মুকিদুল ইসলাম ও নাহিদ রানা একটি করে উইকেট নেন।