তিন থেকে পাঁচবার বিক্রি করা হয় এক সিএনজি অটোরিক্সা।পাঁচ থেকে দশ লাখ টাকা প্রতিবারই লেনদেন করা হয়। রাজধানীর খিলগাঁয়ের এক ব্যবসায়ী এমন অভিনব পন্থায় প্রায় দশ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ এখন সিন্ডিকেটের হোতাদের ধরতে তৎপর হয়েছে ।
রাজধানীর খিলগাঁয়ের নতুন রাস্তা এলাকার আকতার ট্রেডার্স। মালিক আকতার হোসেন। জায়গা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ দশ বছর যাবৎ এ গ্যারেজটি চালান তিনি। সিএনজি অটোরিকশার বিভিন্ন মালিকের কাছ থেকে প্রায় দেড়শ সিএনজি দেখভালের দায়িত্ব নেন আকতার। মূল কাগজপত্র ও তার ফটোকপি নিজের কাছে থাকার সুযোগে একই গাড়ি বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি ও স্ট্যাম্পে চুক্তি করে বায়না নেওয়া শুরু করেন তিনি। আর এভাবেই দশ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন আকতার হোসেন।
ভুক্তভোগিরা জানান, আকতারের মাধ্যমে চেক ও নগদ অর্থ দিয়ে ৭ টা গাড়ি কিনেছেন। কিন্তু এখন সেগুলো প্রতারণা করে বিক্রি করে ফেলেছে সে।
গা-ঢাকা দেয়া আকতার হোসেনের স্ত্রী ও তার ভাইয়ের দাবি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তারা। বরং আকতারের নিখোঁজে থানায় জিডি করেছে তার পরিবার। আকতারের স্ত্রী বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
ডিএমপির উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন জানান, ঢাকার খিলগাঁও ও রামপুরা থানায় প্রতারণার শিকার বিশ জনেরও বেশি মানুষ জিডি করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে গা-ঢাকা দেয়া সিন্ডিকেটের সদস্যদের ধরতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ডিএমপির উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন জানান, প্রতারক চক্রের সন্ধান পেয়েছেন তারা, তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষন করে তাকে খোঁজে বাহির করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গাড়ি কেনাবেচায় মালিকানা যাচাই, রোড পারমিট, লাইসেন্স সম্পর্কিত কাগজপত্র বিআরটিএ থেকে যাচাই-বাছাইয়ের তাগিদও দেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ইবাংলা/নাঈম/০৯নভেম্বর, ২০২১