শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া সাজাপ্রাপ্ত তিন কয়েদীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার রাতের বিভিন্ন সময় র্যাব সদস্যরা দল পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুরের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাক।
র্যাব-১৪ এর প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, স্কোয়াড কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম আমিনুল ইসলামেরর উপস্থিতিতে এসব অভিযান চালানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার কয়েদীরা হচ্ছেন- আব্দুস সালাম ওরফে গারো সালাম (৬০), আমিনুল ইসলাম বদর (৬৮) এবং শামীম মিয়া (২২)।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে আব্দুস সালাম ওরফে গারো সালাম শেরপুর সদর উপজেলার চান্দের নগর নয়াপাড়া গ্রামের মৃত ফছন আলীর ছেলে। হত্যা মামলায় ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত সালামের কয়েদী নং- ৭১৭৪/এ। বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় চান্দের নগর নয়াপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর শেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আমিনুল ইসলাম বদর শেরপুর সদর উপজেলার বয়রা গ্রামের জয়নুদ্দিন বেপারীর ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুই মামলায় ৮ মাস ৪ দিনের সাজাপ্রাপ্ত বদরের কয়েদী নং-৭৮২২/এ। বুধবার রাত ১১টার দিকে বয়রা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর শেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শামীম মিয়া নকলা উপজেলার ভুরদী নয়াপাড়া গ্রামের নওশেদ আলীর ছেলে। ধর্ষণ মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড পাওয়া শামীমের কয়েদি নং- ৭০৪২/এ। বুধবার রাত পৌনে ২টার দিকে ভুরদী নয়াপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর শেরপুর নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলাকালে গত ৫ অগাস্ট বিকালে শেরপুর শহরের দমদমা কালিগঞ্জ এলাকার জেলা কারাগারে আক্রমণ করে কয়েক হাজার দুস্কৃতকারী। তারা পাঁচ শতাধিক হাজতি ও কয়েদীকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পলাতকদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্য র্যাব অভিযান শুরু করে।