সামরিক বাজেট তিনগুণ করছে ইরান

মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বাজছে যুদ্ধের দামামা। এরই মধ্যে নিজেদের সামরিক বাজেটে নজর দিয়েছে ইরান। দেশটি সামরিক বাজেট তিনগুণ করেছে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানাানো হয়েছে। ইরানের মুখপাত্রর ফাতেমেহ মোহাজেরানী বলেন, সামরিক বাজেট তিনগুণ করার প্রস্তাব করেছে সরকার। সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশের সামরিক বাজেটে ২০০ শতাংশের বেশি বাড়ানোর রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বাজেট বাড়ানোর কথা বললেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি। তবে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ২০২৩ সালে ইরানের সামরিক ব্যয় প্রায় ১০ দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার ছিল। গত ০১ অক্টোবরে ইসরায়েলে ইরানের দুই শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এমন বাজেটের খবর সামনে এসেছে। ইরানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এতে করে চার সেনা নিহত হয়েছেন এবং রাডার সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হামাস এবং হিজবুল্লাহর নেতাদের পাশাপাশি তাদের এক কমান্ডারকে হত্যার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছিল। সরকারের মুখপাত্র বলেন, দেশের প্রতিরক্ষা চাহিদা মেটানোর জন্য সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে মধ্যপ্রাচ্য। গত এক বছরে বিশ্বে অনেক বিপদের মুহূর্ত এসেছে। তবে এবারেরটি সবচেয়ে ভয়াবহ। সম্প্রতি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। এরপর লেবাননে স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

অন্যদিকে ইরান প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইসরায়েলে। এরপর ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা ও আঞ্চলিক শক্তিগুলো উত্তেজনা কমানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দ্রুত সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।

শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ এর পক্ষ থেকে সব পক্ষকে ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে; কিন্তু এখন পর্যন্ত সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে মধ্যপ্রাচ্য সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। গত এক সপ্তাহে ঘটে যাওয়া এসব ঘটনার কারণে মূলত এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।