লেবানন থেকে আবারও ইসরায়েলে রকেট হামলা হয়েছে। সেই রকেট উত্তর ইসরায়েলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে তারা বেসামরিক। উত্তর ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের বরাতে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল ও আলজাজিরার খবরে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এ হামলা হয়েছে। এর দায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় হিজবুল্লাহ স্বীকার করেনি। অপরদিকে হামলার বিষয় স্বীকার করলেও নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেনি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
তবে উত্তর ইসরায়েলের মেটুলা আঞ্চলিক পরিষদ বলছে, লেবানন থেকে ছোড়া রকেটে পাঁচজন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে চার বিদেশি শ্রমিক রয়েছেন। অপরজন ইসরায়েলি।
ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, হতাহতদের মধ্যে একজন ইসরায়েলি নাগরিক এবং বাকি চারজন বিদেশি নাগরিক। নিহতরা কৃষি শ্রমিক ছিলেন।
অপরদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দুটি প্রজেক্টাইল লেবানন থেকে ছুটে এসে মেটুলার একটি খোলা জায়গায় পড়েছিল। এ ছাড়া একই দিন দেশের মধ্যাঞ্চল, আপার ও পশ্চিম গ্যালিল অঞ্চলে ৩০টি রকেট আকাশেই ধ্বংস করেছে।
প্রসঙ্গত, লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ অস্তিত্ব সংকটের মুখে। নিহত হয়েছেন তাদের সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহও। এরপর কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর নতুন প্রধান হিসেবে নাইম কাসেমের নাম ঘোষণা করেছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এরপর প্রতিরোধ জোরদারের চেষ্টা করছেন তিনি।
এবার তাকেও হত্যার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। বলেছে, তিনি দীর্ঘদিন এ পদে থাকতে পারবেন না।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, গোষ্ঠীটির নতুন প্রধান হয়েছেন নাইম কাসেম। তিনি এর আগে গোষ্ঠীটির ডেপুটি ছিলেন। তাকে সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। কাসেম তার ‘হিজবুল্লাহর নীতি ও লক্ষ্যের প্রতি আনুগত্যের কারণে’ এ পদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এরপরই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এক্সে (সাবেক টুইটার) নাইমের ছবি যুক্ত করে একটি পোস্ট দেন। তাতে লেখেন, ‘সাময়িক নিয়োগ, দীর্ঘদিনের জন্য নয়।’ মূলত এর মাধ্যমে পূর্বসূরি নাসরুল্লাহর পরিণতি ভোগ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ইসরায়েল সরকারের দাপ্তরিক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘নাইম যদি তার পূর্বসূরিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন, তাহলে হিজবুল্লাহপ্রধান হিসেবে তার মেয়াদ সংগঠনটির ইতিহাসে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত হতে পারে।’ লেবাননে হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতাকে ধ্বংস করা ছাড়া আর কোনো সমাধান নেই বলেও পোস্টে বলা হয়।