যে কোনো সম্পর্ক বিশ্বাস ও আস্থার ওপর গড়ে ওছে। তবে অন্য সব সম্পর্ক থেকে স্বামী-স্ত্রীর আলাদা। তাই তো পারস্পারিক সম্পর্ক নিয়ে গড়ে ওঠে এ সম্পর্ক । দুজনের মধ্যের সম্পর্ক কেমন হবে তা তাদের নিজেদের ওপরেই নির্ভর করে। দুজনে দুজনকে সমান গুরুত্ব দিলে,বিশ্বাস করলে সম্পর্কে ছেদ পড়ার তেমন কোন সম্ভাবনা থাকে না। দুজনের এই মধুর সম্পর্ককে আমরণ টিকিয়ে রাখতে দুজনেরই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
দেখভাল করা: একজন আরেকজনের ভালো-মন্দ, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসহ সবকিছুর দেখাশোনা করতে হবে। জীবনের শুরুতেই একজন আরেক জনকে এ বিষয়ে প্রতিজ্ঞা করা উচিত।
মনোযোগ দিয়ে শোনা: স্বামী বা স্ত্রী একে অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত। এমন যেনো না হয় আপনি আপনার সঙ্গীর কথা শোনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন না আর সে বিষয়টা তাকে বোঝাচ্ছেন। সব সময় দুজন দুজনকে গুরুত্ব দিতে হবে।
দৃঢ় বন্ধন: পরিস্থিতি যাই হোক না কেন একজন যেনো আরেকজনকে কখনো ছেড়ে না যান সেই পরিমাণ মজবুত হতে হবে সম্পর্কের ভিত।
গোপনীয়তা: মানুষের জীবনে কম বেশি গোপন বিষয় বা ঘটনা থাকে। সে ক্ষেত্রে একজন স্বামীর উচিত হবে স্ত্রীর গোপনীয়তা রক্ষা করা আর স্ত্রীরও উচিত স্বামীর গোপনীয়তা রক্ষা করা। গোপন যে বিষয় আছে তা যেনো বাইরে না যায়, নিজেদের মধ্যেই থাকে।
সুখে রাখার প্রতিজ্ঞা: একজন আরেকজনকে সব সময় সুখি রাখার চেষ্টা করতে হবে। মানুষের জীবনে দুঃখের সময় আসে। সে সময় আপনার সঙ্গীকে মানসিকভাবে সমর্থন দিন।
সিদ্ধান্ত: দুজনে আলোচনা না করে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে না। কোন বিষয়ের ভালো মন্দ দুজন আলোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
সমান অধিকার: চেষ্টা করুন পরিবারের সবকিছু দুজন ভাগাভাগি করে করতে। এতে করে অনেক জটিল বিষয়ও সহজ হয়ে উঠবে।
সমস্যা সমাধান: জীবনে চলার পথে অনেক সমস্যা আসবে এইটা স্বাভাবিক। কিন্তু যে ঝড়, ঝাপটাই আসুক না কেন দুজন মিলে তা সমাধানের চেষ্টা করুন।
ভালোবাসা: জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দুজন দুজনকে ভালোবাসার প্রতিজ্ঞা করুন।
ইবাংলা /এইচ /১৩ নভেম্বর, ২০২১