গত শুক্রবার (১৮ জুন) ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কট্টরপন্থি ইব্রাহিম রাইসি জয় লাভ করেন। যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনের সমালোচনা করে বলেছে, ‘ইরানের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি’। নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এমন সমালোচনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান।
আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার (২১ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর ইরানের নির্বাচন নিয়ে বিবৃতি দেয়। ওই বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বলেন, যে প্রক্রিয়ায় ইব্রাহিম রাইসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সেটা মোটামুটি নির্মিত। যুক্তরাষ্ট্রের ভাষায়; ইরানের নির্বাচন ‘না হয়েছে, অবাধ না হয়েছে সুষ্ঠ’।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের এমন বিবৃতির সমালোচনা করেছে ইরান সরকার। সরকারের মুখপাত্র আলি রাবিই বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতি ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রের এমন বিবৃতি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতি প্রত্যাখান করেছে।
আলি রাবিই বলেন, ইরানের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করার যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অধিকার নেই। শুধু ইরান নয়, কোনো দেশের নির্বাচনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য করার কোনো অধিকার নেই।
গত শুক্রবারে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছেন কট্টরপন্থি ইব্রাহিম রাইসি। আল জাজিরার খবর অনুসারে, এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
৬১ দশমিক ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ইব্রাহিম রাইসি। তিনি পেয়েছেন ২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৩ হাজার ৪ ভোট। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর দেশটিতে সবচেয়ে কম ভোটদানের ঘটনা ঘটেছে এবার।
৬০ বছর বয়সী রাইসি তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছেন। তাকে ২০১৯ সালে বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারপর থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ পর্যন্ত ইব্রাহিম রাইসি ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আগামী আগস্ট মাসে ইরানের এই নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেবেন।
ই বাংলা/ আই/ ২২ জুন, ২০২১