বরগুনায় নবম শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলভন ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হলে তা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ওই স্কুলছাত্রী একই এলাকার মৃত লতিফ সিকদারের মেয়ে। সে বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
খোজ নিয়ে জানা যায়, বামনার খোলপটুয়া এলাকার আবদুল হাই সিকদারের ছেলে মো. রিমন (২২) প্রায়ই ওই স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত করে আসছে। এরপর গতবছরের ২০ নভেম্বর সকালে স্কুলে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে চেতনানাশক ঔষধ ব্যবহার মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে নির্ধারিত সময়ে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা স্কুলছাত্রীকে খুঁজতে বের হয়। ঘটনার পরদিন স্কুলছাত্রীকে বামনা উপজেলার খোলপটুয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করে স্বজনরা।
পরে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী পুরো ঘটনা স্বজনদের খুলে বললে গতবছরের ৮ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীর নানা বাদী হয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই নানাভাবে ভুক্তভোগীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে গোটা পরিবার।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীর নানা মোতালেব হাওলাদার বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় মামলা করেছিলাম। এখন উল্টো অভিযুক্তরা আমাদের এলাকাছাড়া ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমাদের পরিবার চরম নিরাপত্তা হীনতায় আছি।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় বাকী বিল্লাহ মেম্বার, তমাল তালুকদার, আয়নালসহ আরও অনেকে আমাদের সরাসরি মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন। আমরা এলাকা ছেড়ে বরগুনায় এসে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই এবং জীবনের নিরাপত্তা চাই।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, এ মামলাটি ডিবি তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া মামলা তুলে নিতে কেউ যদি হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইবাংলা/জেএন/২২ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.