ইভ্যালিকাণ্ড: মিথিলা-শবনমের আগাম জামিন
ইভ্যালি প্রতারণার মামলায় অভিনেত্রী মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) তাদের জামিন আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আতোয়ার রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আগাম জামিনের মেয়াদের মধ্যে মিথিলা বা শবনম ফারিয়া হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা বিবেচনা করতে বলে হাইকোর্ট।
মিথিলার পক্ষে হাইকোর্টে শুনানি করেন আইনজীবী নিয়াজ মোরশেদ; ফারিয়ার পক্ষে ছিলেন জেসমিন সুলতানা।
মিথিলা বলেন, তারকারা এ ধরণের হয়রানির সহযোগীতা এখন পাচ্ছে, ভবিষ্যতেও পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
এর আগে রোববার (১২ ডিসেম্বর) জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা। তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইমতিয়াজ ফারুক।
৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের নামে মামলা করেন।
বাদীর অভিযোগ, আসামিরা ‘প্রতারণার মাধ্যমে’ তার কাছ থেকে তিন লাখ ১৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তখন ইভ্যালির সঙ্গে যুক্ত তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়ার উপস্থিতি ও তাদের ‘প্রমোশনাল’ কথাবার্তায় প্রলুব্ধ হয়ে তিনি পণ্যের অর্ডার করেছিলেন।
গত মার্চে ইভ্যালির পণ্যদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান রহমান খান। পরে গ্রাহকদের অসন্তোষ নিয়ে নানা খবরের মধ্যে তিনি ওই চুক্তি বাতিল করার কথা জানান।
ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হওয়ার পর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ থাকা অভিনেত্রী মিথিলাও চুক্তি বাতিলের খবর দিয়েছিলেন। আর ওই ই কমার্স কোম্পানির জনসংযোগ কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা শবনম ফারিয়া চাকরি ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন।
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সঙ্গীতশিল্পী তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াসহ নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন- অভিনেতা ও গায়ক তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়া। এছাড়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েসকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এদিকে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও সহায়তা করা হয়েছে। আত্মসাৎকৃত টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা। যা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এই তিন তারকার প্রচার-প্রচারণার কারণে শুধু সাদ স্যাম রহমান নয় এমন শত শত মানুষ ইভ্যালি থেকে পণ্য কিনতে অর্ডার দিয়েছিলেন। কিন্তু পণ্য না পেয়ে গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এর দায় কোনোভাবে তারকারা এড়িয়ে যেতে পারেন না বলে জানাচ্ছে গ্রাহকরা।
পুলিশ জানায়, উক্ত মামলায় ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এমডি মোহাম্মদ রাসেলকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানায় পুলিশ।
গত মার্চে ইভ্যালির পণ্যদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান রহমান খান। পরে গ্রাহকদের অসন্তোষ নিয়ে নানা খবরের মধ্যে তিনি ওই চুক্তি বাতিল করার কথা জানান।
ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হওয়ার পর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ থাকা অভিনেত্রী মিথিলাও চুক্তি বাতিলের খবর দিয়েছিলেন। আর ওই ই কমার্স কোম্পানির জনসংযোগ কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা শবনম ফারিয়া চাকরি ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন।
গাড়ি, মোটরসাইকেল, গৃহস্থালির আসবাবপত্র, স্মার্ট টিভি, ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন বিলাসী পণ্য অর্ধেক দামে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের নজরে এসেছিল ইভ্যালি।
তাদের চমকদার অফারের প্রলোভনে অনেকেই বিপুল অংকের টাকা অগ্রিম দিয়ে পণ্যের অর্ডার করেছিলেন পরে বেশি দামে বিক্রি করে ভালো লাভ করার আশায়।
কিন্তু তাদের অনেকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পণ্য বুঝে পাননি, ইভ্যালি অগ্রিম হিসেবে নেয়া তাদের টাকাও ফেরত দেয়নি। এভাবে প্রলোভনে পড়ে ব্যাংক ঋণ, ধার-দেনা করে, জমি বা গয়না বেচে সেই টাকা ইভ্যালিতে লগ্নি করে এখন মহাবিপদে আছেন বহু গ্রাহক।
ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে ইতোমধ্যে গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইবাংলা এইচ/১৩ ডিসেম্বর,২০২১