রাশিয়ার একটি বেসরকারি সেনা কনট্রাক্টর প্রতিষ্ঠান এবং তার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নে ওয়্যাগনার গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই সংস্থার সঙ্গে জড়িত আট ব্যক্তির বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে।
ওয়্যাগনার গ্রুপ রাশিয়ার প্রাইভেট মিলিশিয়া বলে পরিচিত। ক্রেমলিনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ট। মালি, ইউক্রেন, লিবিয়াসহ আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে তারা কাজ করছে বলে অভিযোগ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ের প্রধান জোসেপ বরেল জানিয়েছেন, সংস্থাটির সমস্ত অর্থ এবং সম্পত্তি ফ্রিজ করা হবে। বিদেশে যেতে পারবে না সংস্থার প্রতিনিধিরা। একই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে আটজন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও।
এদিন, ইইউ-তে ইউরোপের একাধিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন বরেল। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিযোগ, ওয়্যাগনার গ্রুপ একধিক দেশে রাশিয়ার বকলমে অপারেশন চালায়। মালিতে তাদের শক্তিশালী অবস্থান বলেও জানিয়েছে ইইউ। ক্রেমলিন অবশ্য দাবি করেছে, মালির অন্তর্বর্তী সরকারই ওয়্যাগনার গ্রুপকে মালিতে আমন্ত্রণ করে নিয়ে গেছে। ফলে সেখানে তাদের অবস্থান বৈধ। কিন্তু ইইউ এ কথা মানতে চায়নি।
পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ওয়্যাগনারগ্রুপের মাধ্যমে ক্রেমলিন তার আধিপত্য ধরে রাখে। আফ্রিকার দেশগুলি ছাড়াও ইউক্রেনে তাদের প্রতিনিধি আছে। তারা ইউক্রেনের রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দেয় বলে অভিযোগ। বস্তুত, ইউক্রেন নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণেই তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হলো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: ডয়েচে ভেলে।
ইবাংলা / নাঈম/ ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১