পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির চাপে কখনো কী মনে হয় যে কাউকে আচ্ছামতো পেটাতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু চাইলে তো আর কাউকে ধুমধাম পেটানো যায় না। তবে সেই সমস্যার সমাধান দিতে পারেন হাসান। কারণ মানুষের পিটুনি খাওয়াই তার পেশা। আর এজন্য তার রীতিমতো লাইসেন্স আছে। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এক প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলের বাসিন্দা হাসান রেজা গনি নামে ওই ব্যক্তি ২০১২ সাল থেকে স্ট্রেস কোচ হিসেবে কাজ করছেন। ওই বছর এ নিয়ে লাইসেন্সও করেছেন তিনি। হাসানের অবশ্য পিটুনি খাওয়ার পেশা বেছে নেওয়ার পেছনে রয়েছে তুর্কি চলচ্চিত্র সার্ক বুলবুবুর অবদান। ওই সিনেমায় কমেডি অভিনেতা কামাল সুনাল স্বেচ্ছায় মানুষের পিটুনি খাওয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
ওই সিনেমা দেখে হাসান উপলব্ধি করেন, কেউ কেউ তাদের মানসিক চাপ ব্যায়াম করে কমাতে পারেন। অন্যদিকে কেউ চিৎকার করে কিংবা কাউকে মারধর করে মানসিক চাপ কমাতে চান। তাই যারা মারধরের মাধ্যমে চাপ কমাতে চান, তাদের মার খাওয়াকেই পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হাসান।
গণমাধ্যমকে হাসান বলেন, আমার বেশির ভাগ ক্লায়েন্টই দৈনন্দিন কাজের চাপে বিষণ্নতায় ভোগেন।হাসান জানান, প্রতিদিন দুই থেকে চার জন ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। প্রতিটি সেশন চলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত। তার বেশির ভাগ ক্লায়েন্টই নারী বলেও জানিয়েছেন হাসান। ইউটিউব চ্যানেলে নিজের মার খাওয়ার সেশনগুলো নিয়মিত আপলোডও করেন তিনি।