পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। এখন বাকি ভোটগ্রহণ। বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোট। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ ধাপে ৭০৮টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৪০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে। বাকিগুলোতে ভোট হবে কাগজের ব্যালটে।
আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে নির্বাচনী প্রচার কাজ বন্ধ করতে হয়। ফলে সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাত ১২টা থেকেই শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। একই সঙ্গে নির্বাচনী এলাকায় নেমেছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালামাল পাঠানো শুরু হয়েছে।
অপরদিকে ৪৮ জেলার সব নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত ৫৪ ঘণ্টার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, মোটরসাইকেলের পাশাপাশি মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) রাত ১২টা থেকে বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত সব যন্ত্রচালিত যান চলাচলও বন্ধ থাকবে। তবে ইসির অনুমোদন নেওয়া গাড়ি এ নির্দেশনার বাইরে থাকবে। এছাড়া জরুরি সেবা যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এ ধাপে ৭০৮টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৪০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে। বাকিগুলোতে ভোট হবে কাগজের ব্যালটে। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৬ হাজার ৪৫৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে তিন হাজার ২৭৪ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে সাত হাজার ৯৫০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৫ হাজার ২৩৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।
এরই মধ্যে পঞ্চম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ১৯৩ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫২ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৩২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ১০৯ প্রার্থী রয়েছেন।
চলমান ইউপি নির্বাচনে ইতোমধ্যে চার ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। পঞ্চম ধাপের পর ষষ্ঠ ধাপে ২১৯ ইউপিতে ৩১ জানুয়ারি এবং সপ্তম ও শেষ ধাপে ১৩৮ ইউপিতে ৭ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। দেশে চার হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় চার হাজার ইউপিতে হবে নির্বাচন।
এদিকে শেষ হওয়া চার ধাপের নির্বাচন নিয়ে উঠেছে নানা অভিযোগ। এর মধ্যে রয়েছে- জাল ভোট, ব্যালট পেপার ছিনতাই, বোমা হামলা, গোলাগুলি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। আর বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হত্যার হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।