বরগুনায় নবজাতকের হাত ভেঙে ফেলার অভিযোগ

গোলাম কিবরিয়া, বরগুনা

বরগুনার তালতলীতে বেসরকারি অ্যাপোলো হাসপাতালে সিজারের সময় চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের ডান হাতের কনুইয়ের উপরের হাড় ভেঙে যায় । এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে নবজাতকের দাদা আবু হানিফ ভুক্তভোগী ঔ হাসপাতালে চিকিৎসকসহ কর্তৃপক্ষের বিচার চেয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি জান্নাতুল মাওয়া নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী চেকআপ করানোর জন্য বেসরকারি অ্যাপোলো হাসপাতালে আসেন। ঔ হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. সৈয়দ কামরুজ্জামান অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রুত সিজার করার পরামর্শ দেন। সিজার (অস্ত্রোপচার) না করলে অনাগত শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। ভুক্তভোগী পরিবার থেকে তাৎক্ষণিক সিজার করার জন্য অনুমতি দেয়। অনুমতি পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যা ৪ টার চিকিৎসক সিজারের জন্য ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালের বেডে মা ও নবজাতককে হস্তান্তর করেন। নবজাতকের কান্নাকাটি শুরু করলে কোন মতে কান্নাকাটি না থামায়। সিজারের সময় চিকিৎসকের অদক্ষতা ও চরম অবহেলার কারণে নবজাতক শিশুটির ডান হাতের কুনইয়ের উপরের ভেঙেছে বলে অভিযোগ করেছেন নবজাতকের দাদা আবু হানিফ।

সেই রাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মা ও নবজাতককে অন্য কোনো সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। কোনো উপায় না পেয়ে নবজাতক শিশুটিকে পটুয়াখালী হাসপাতালে নেয় তার পরিবার। সেখানকার চিকিৎসক বলেন শিশুদের হাত ভেঙে গেছে। এরপর পরবর্তী চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এদিকে নবজাতক শিশুর দাদা আবু হানিফ বাদী হয়ে ডা.সৈয়দ কামরুজ্জামানসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আসামি করে তালতলী থাকায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ তালতলী অ্যাপোলো হাসপাতালের মালিক মো. ফাহিম নান, আমাদের এখানে থাকাকালীন নবজাতকের হাত ভেঙে যায়নি। নবজাতকের আত্মীয়-স্বজনের কারণেই হাত ভেঙে গেছে। আপনাদের হাসপাতালে সিজার এর কোনো অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে কোনো বক্তব্য না দিয়েই ফোনটি কেটে দেয়।

এ বিষয়ে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ বিষয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইবাংলা/ এইচ/ ২৪ ফেব্রুয়ারি,২০২২

Contact Us